ফাইল ছবি
নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ি জেলার ৯ উপজেলার প্রায় ৭৪টি গুচ্ছগ্রামে মোট ২৬ হাজার ২ শত ২০ টি কার্ড ধারী রয়েছে। গত জরুরী অবস্থার সময় একটি কার্ডকে দুইভাগে ভাগ করে রেশন কার্ড বৃদ্ধি করা হয়েছে তার সংখ্যা জানা সম্ভব হয়নি। তার মধ্যে হতদরিদ্র গুচ্ছ গ্রাম বাসিরা করোনা ভাইরাসের কারনে কর্মহীন হয়ে পরায় অনেকের রেশনকার্ড বন্ধক দিয়। শর্তে উল্লেখ থাকে কার্ডধারীদের কিছু রেশন দেওয়ার কথা থাকলেও সিন্ডিকেট চক্র শর্ত বঙ্গ করে কোনো চাউল ও গম না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
খাগড়াছড়ি জেলার গুচ্ছগ্রামগুলোতে চলছে অনিয়ম, দুর্নীতি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রেশন বিতরন। হতদরিদ্রদের ও গুচ্ছগ্রাম বাসীর রেশনের চাউল বানিজ্যে মেতে উঠেছে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী। তারা অগ্রিম টাকা দিয়ে সল্প মুল্যে চাউল ক্রয় করে সমতলে পাচার করছে সিন্ডিকেট চক্র।
সূত্রে জানাযায়, খাগড়াছড়ি জেলার ৯টি উপজেলার ৭৪ গুচ্ছগ্রামে প্রায় ৫ হাজারে বেশি রেশন কার্ড ধারীদের থেকে কার্ড বন্ধক নিয়ে কার্ডধারীদের কোনো চাল না দিয়ে ক্রয়ের অযুহাতে সিন্ডিকেট চক্র চাউল গুলো উত্তলন করে নিয়ে যায় এবং কার্ডধারীদের টিপ/স্বাক্ষর ছাড়াই রেশন উত্তলন করে নিয়ে যায় উক্ত রেশন কার্ড বন্ধক সিন্ডিকেট চক্র।
বর্তমান বাজার মূল্য অনুসারে এক কেজি চাউলের মূল্য ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা, আর কার্ডধারীদের চাউলের মূল্য ধরা হয় সর্বোচ্চ ২০-২৫ টাকা কেজি। যারা চাউল ও গম বিক্রি করেনি তাদের গম গুলোও পায় না সে গম গুলো চট্টগ্রাম সমতলের ব্যবসায়িক চক্রের নিকট বিক্রি করে দেয় প্রজেক্ট চেয়ারম্যানরা। আবার গমের দাম প্রতি বাজার মূল্য ৩০-৩৫ টাকা কেজি। কিন্তু কার্ডধারীদের প্রতি কেজি গমের দাম ১১-১২ টাকা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
গুচ্ছগ্রামে রেশন দুর্নীতি যদি বন্ধ না হয়। হতদরিদ্র গরিব গুচ্ছগ্রামের কার্ডধারীদের নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন মানববন্ধনসহ বৃহত্তর কর্মসূচি দিবে বলে গুচ্ছগ্রামের একাধীক সচেতন নাগরীক সমাজ জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গুচ্ছগ্রামবাসী জানান, গুচ্ছগ্রামের রেশন বিতরনে চলছে অনিয়ম ও দুর্নীতি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে চাউল কর্তন সহ অবৈধ ভাবে চাউল ও গন পাচার হচ্ছে খাগড়াছড়ি জেলার বাহিরে সমতল অঞ্চলে। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করলে আসল রহস্য বেড়িয়ে আসবে।
গুচ্ছগ্রাম বাসীর পক্ষে বর্তমান খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য বাহার মিয়া বলেন, একশ্রেনীর সিন্ডিকেট চক্র ও প্রজেক্ট চেয়ারম্যান নানান অযুহাত রেশনকার্ড ধারী থেকে তিন থেকে চার কেজি করে চাল ও গম ক্যারিং ও বিভিন্ন প্রতিষ্টানের নামে কর্তন করা হয় আরো নিচ্ছে সমীতির টাকা বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও দালাল দিয়ে রেশন বিলি করে অবৈধ ভাবে ৬০%-৭০% রেশন নিয়ে যায় সিন্ডিকেট চক্র। প্রশাসনের তদারকির মাধ্যমে জনগনের পাওনা যেন জনগন পায় তার সঠিক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য মিডিয়ার সকল সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে সুষ্ঠ তদন্ত করার দাবি জানাচ্ছি।