নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার আওতাধীন মহালছড়ি রোডের সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নের পঙ্খিমুড়া এলাকায় গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতি কারীরা মো: আবুল বশর, মো: সোহেল ও মো: মিরাবালী তিনটি পরিবারের সেগুন, আম, জাম, গামারী সহ বিভিন্ন জাতের মূল্যবান গাছ কেটে উজার করে দিয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহল।
সচেতন মহল মনে করেন, ক্যাম্প প্রত্যাহারের ফলে দুর্বিত্তরা এসকল অপকর্ম করে যাচ্ছে। বাঙালিদের জানমাল বাগান বাগিচা ও ভূমি রক্ষা করতে হলে পার্বত্য অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনী যোরদার করে পাহাড়ি বাঙালিদের মিলে মিশে বসবাস করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে এবং দুস্কৃতিকারীদের আটক করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
পার্বত্য অঞ্চলে প্রতিদিন নিরীহ পাহাড়ি বাঙালিদের উপরে একশ্রেনীর দুস্কৃতিকারীরা নির্যাতন-নিপীরণ, ভুমি দখল ও বাগান বাগীচা উজার করে ক্ষতি সাধন করে অশান্তি সৃষ্টি করে যাচ্ছে। কিন্তু আটক হচ্ছে না দুস্কৃতিকারীরা। তাদেরকে প্রতিরোধ করতে হলে প্রশাসণ কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল। বাড়াতে হবে পার্বত্য অঞ্চলে নিরাপত্তাবাহীনির ক্যাম্প। এতে রক্ষা পাবে জানমাল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে পাহাড়ি বাঙালী সহ অসহায় মানুষের।
এক শ্রেনীর দুস্কৃতিকারীরা রাতের অন্ধকারে খাগড়াছড়ি জেলা গুইমারা, রামগড়, মহালছড়ি, দিঘিনালা, মাটিরাঙা বেশ কয়টি বাগান কেটে উজার করার ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু এসব ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিরা রয়েছে ধরাছোয়ার বাহিরে।
গুইমারা উপজেলার সিন্দুকছড়ি এলাকার এক বাগানের মালিক আবুল বশর জানান, গত সোমবার রাতে বাগান কেটে উজার করেছে দুস্কৃতিকারীরা। সন্ত্রসীরা রাজনৈতিক কৌশল হিসাবে এই এলাকা থেকে বাঙালিদের বিতারিত করা জন্য বাগান বাগিচা কেটে নিস্য করে দিচ্ছে। উল্লেখিত বাগানগুলো কাটার ফলে মো: আবুল বশর, মো: সোহেল ও মো: মিরাবালী নামে এই তিন পরিবারের আনুমানিক ২০ থেকে ২২ লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরো জানান, এর আগেও এই বাগানটি কেটে প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা ক্ষয় ক্ষতি করেছে দুষ্কৃতিকারীরা।
গত এক সাপ্তাহের ব্যবধানে রামগড় উপজেলার আব্দুর রহিম ও মো: জামাল উদ্দিন এর ফলজ বাগান কেটে উজার করেছে দুর্বিত্তরা। এতে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে বাগানের মালিকরা। এসকল বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবি ভুক্তভুগিদের।