নুরুল আলম: খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের বৈদ্য পাড়া দূর্গম এলাকায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্টাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য চাইথোয়াই চৌধুরী।
এলাকাবাসী জানান, হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডটি ৫টি গ্রাম নিয়ে গঠিত এই ওয়ার্ডে কোমলমতি শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই বৈদ্যপাড়া, নাইক্কাপাড়া, মগবৈদ্য পাড়া, চাকমা বৈদ্য পাড়া, তাইন্দং পাড়া এই পাঁচটি গ্রামের ছোট ছোট শিশুদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে হলে পাহাড়ী দূর্গম আঁকা বাঁকা রাস্তা জঙ্গলে ঘেরা পথ পাড়ি দিয়ে ৩ কি:মি: দূরে বড়তলি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে হতো অনেক কষ্ট করে।
বিষয়টি একদিন হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য চাইথোয়াই চৌধুরীকে জানালে তিনি সরেজমিনে গিয়ে এলাকা বাসীদের মতামতের ভিত্তিতে দূর্গম এলাকার ছোট ছোট শিক্ষাথীদের সুবিধার জন্য একটি বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্টা করেন।
স্কুল নির্মান সহ তিনি র্দীঘদিন ধরে উন্নয়ন মুলক কাজ করে যাচ্ছে হাফছড়ি বাসির জন্য এবং একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচীত হন তিনি। এলাকার পাহাড়ী বাঙ্গালী সকলের দুঃখে সুখে যেকোনো মূহুর্তে সহযোগিতায় এগিয়ে আসে। তাই আগামী দিনেও যাতে এই সেবায় নিয়োজিত থাকে এই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য চাইথোয়াই চৌধুরী বলেন, দুর্গম এলাকার অবহেলিত পাঁচ গ্রামের প্রায় ৪ শতাধীক পরিবারের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থী তিন কিলোমিটার দূরে দুর্গম পাহাড়ী পথ পাড়ি দিয়ে পাঁয়ে হেঁটে বড়তলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে হয় পাঠদানের জন্য। শিশুদের কষ্ট লাঘবের জন্য আমি নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৮ সালে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজস্ব অর্থায়নে পাড়াবাসীদের সহযোগিতায় বৈদ্য পাড়া বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের জন্য একটি জায়গা নির্ধারন করে সেখানে একটি টিনসেড ভেড়ার ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি।
বর্তমানে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে এখানে। শিক্ষকরা স্থানীয় ব্যবসাসহ অন্যান্য কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অনেকটা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে চারজন শিক্ষকের মাধ্যমে বিদ্যালয়টিতে পাঠদান চলছে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন দিবসে আমি আমার ব্যাক্তিগত পক্ষ থেকে এবং সেনাবাহিনীর ও কিছুটা সহযোগিতা করে থাকে। তবে বিদ্যালয়টির সরকারি পাঠদানের অনুমতি রয়েছে। বিদ্যালয়টি সরকারি হলে বৈদ্যপাড়া বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির মানসম্মত সু-শিক্ষা সুনিশ্চিত হবে বলে আমি মনে করি।