নিজস্ব প্রতিবেদক:: পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির গুইমারা এখন ভয়ঙ্কর মাদকের অভিশপ্ত জনপদ। এখানে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবা,গাজা,ফেনসিডিল থেকে শুরু করে ভারত থেকে আসা বাহারি মোরকের সব বিদেশী মদ। এতে করে বিপদগামী হচ্ছে উঠতি বয়সের যুব সমাজ ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। ঘটছে সামাজিক অবক্ষয়।
এভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকলে অংকুরেই বিনষ্ট হবে স্থানীয় যুব সমাজ। গুইমারা উপজেলা পরিণত হবে মাদকের অভয়রণ্যে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দিনের বেলায় যেমন তেমন রাত নামলেই এখানে রঙিন এখন জগতে পা বাড়ায় মাদক আসক্তরা। বিভিন্ন স্পর্ট ভেঁদে নানা কৌশলে মাদক সিন্ডিকেট চক্র তাদের এসব রমরমা অবৈধ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
নতুন নতুন কৌশল অবলম্বণের অংশ হিসেবে ইয়াবা বিক্রিতে মাদক কারবারীরা এবার ব্যবহার করছে জাতি গঠনের প্রধান হাতিয়ার কলম। শীষ যুক্ত কলমে প্রয়োজন অনুসারে ইয়াবা ট্যাবলেট প্রবেশ করিয়ে তা প্রকার ভেঁদে বিক্রি হচ্ছে।
গুইমারার জালিয়াপাড়া,বড়পিলাক হচ্ছে এই ব্যবসার কেন্দ্র বিন্দু। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে রাতেই মাদক কারবারিরা সক্রিয় হয়ে উঠে। এখানে মোট ৮টির ও অধিক টিম নানা কৌশলে এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ স্থানীয় আবার অনেক টিম আসছে রামগড়,মানিকছড়ি ও ফটিকছড়ি থেকে। স্থানীয় ভাবে স্যাল্টার পেয়ে দীর্ঘ সময় এই যজ্ঞ চালিয়ে গেলেও অনেকের কাছে আকাশ থেকে মাটিতে পড়ার মত বিষয়টি।
বিশ^স্ত সূত্র জানান, প্রতিরাতে গুইমারা, জালিয়াপাড়া, বাইল্যাছড়ি, হাতিমুড়া, বড়পিলাক, তৈকর্মা, সিন্দুকছড়ি সহ বিভিন্ন জায়গার এই যজ্ঞ চলছে। কারা এই মাদকের ডিলার,সরবরাহকারী? তাকি প্রশাসন জানেনা? স্থানীয়দের অভিযোগ মোটা অঙ্কের অর্থেই সকলে মিলেমিশে একাকার হয়েছেন! তাই এসব বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সম্প্রতি সেনাবাহীনির অভিযানে মাদক দ্রব্য, অস্ত্র, ও চাঁদা আদায়কালে সন্ত্রসীদের আটক করে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। কিন্তু পুলিশ বাহিনী মাদক দ্রব্য উদ্ধারে উল্ল্যেখযোগ্য অভিযান চোখে পরেনি। এমনকি মাদক সেবনকারীদের মধ্যে রয়েছে সমাজের বিভিন্ন নামীদামি ব্যক্তি বর্গ। এই ব্যবপারে যৌথ অভিযোগ চালালে এসব মাদকের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা আইনের আওতায় আসবে।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য ও গুইমারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মেমং মারমা বলেন, যুব সমাজ ধ্বংসকারীদের কোন ভাবেই ছাড় না দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী। এ সময় তিনি প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।