নিজস্ব প্রতিবেদক: খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি-রামগড় সীমান্তবর্তীর মানিকছড়ি অংশে ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ওসমানপল্লীর মদিনা মসজিদটি এতটাই জরাজীর্ণ যে, আষাঢ়- শ্রাবণের বৃষ্টি টিনে পড়ার আগেই ঘরের মেঝে স্পর্শ করে! ফলে জুমার দিনের প্রায় তিনশত মুসল্লি ঘরে-বাইরে বৃষ্টিতে ভিজে নামাজ আদায় করতে হয়।
দীর্ঘ ৩ যুগেও উন্নয়ন না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। ওসমানপল্লী মদিনা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. সায়েম উদ্দীন মুন্সী ও সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দীক মিয়া বলেন, ১৯৮৬ সালে মানিকছড়ি উপজেলার অধীনে থাকা ওসমানপল্লী, হাতিমুড়া এলাকায় বসবাসরত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তায় গুচ্ছগ্রাম প্রতিষ্ঠা করে সরকার। ওই সময়ে মুসল্লীদের ইবাদত বন্দেগীর জন্য ওসমানপল্লীতে মদিনা মসজিদ স্থাপন করেন মুসল্লীরা। তখন গড়ে ৩শ জন মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করতে হিমশিম খেতে হতো।
দীর্ঘ এক যুগ পর হাতিমুড়া বাজারের পূর্বে আরেকটি মসজিদ নির্মাণ হলে মুসল্লী কিছুটা কমে এখন পর্যন্ত মদিনা মসজিদে গড়ে মুসল্লী আড়াই থেকে তিনশ জন। ৬০ শতক ভূমিতে টিনের ছাউনি বাঁশের বেড়ার কুঁড়ে ঘরে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি শতাধিক শিশুরা করোনার আগ পর্যন্ত সকালে মক্তবে সূরা-কেরাত, হাদিস-কোরআন পড়ত। মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জেনের বেতন, ভাতার অর্থের উৎস গুচ্ছগ্রামে থাকা ৩৫ পরিবার থেকে পাওয়া খয়রাতি চাউল বিক্রি ও মুসল্লীদের দান-অনুদান। এই অল্প স্বল্প অর্থে মসজিদের অবকাঠামো উন্নয়ন সম্ভব হয়ে উঠে না।
শুক্রবার জুমার নামাজে বৃষ্টি-বাদলে মুসল্লীরা খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে জুমার নামাজ পড়ার কথা জানিয়ে মুসল্লী মো. নূর আলম বলেন, মসজিদটি উপজেলার অনেক পুরাতন হলেও দীর্ঘ ৩ যুগে সরকারীভাবে এক টাকাও দান- অনুদান পাইনি।