আল-মামুন,খাগড়াছড়ি:: আগুণে পুড়ে শর্য্যায় ছিলেন দীর্ঘ দিন পূর্নিমা চক্রবর্তী। অর্থ সংকটে পরিবারটির নুন আনতে পানতা ফুরায়। অনেক কষ্টের মধ্যেও ভাড়া ঘরে কাটছে তাদের জীবন। অগিদগ্ধ হলেও অর্থ নেই চিকিৎসার। তাই চিকিৎসার অভাবে কাটছিল ব্রাহ্মণ বাদল কুমার চক্রবর্তীর অসুস্থ সহধর্মীনি পূর্নিমা চক্রবর্তীর জীবন।
বিগত ৫ মাস পূর্বে ৪ মাইল শিব বাড়ি এলাকায় এক বিকেলে নিজের অজান্তে মোমবাতির আগুণ শাড়িতে ধরে অগ্নিদগ্ধ হয় ব্রাহ্মণ বাদল কুমার চক্রবর্তীর সহধর্মীনি পূর্নিমা চক্রবর্তী। পারিবারিক অস্বচ্ছলতার ফলে আর্থিক সংকটে ভুগছিল পরিবারটি। এক পর্যায়ে ভরণপোষণসহ স্ত্রীর চিকিৎসাও করাতে পারছিলেন না অসহায় ব্রাহ্মণ।
সমাজের অস্বচ্ছল,অসহায়,কর্মহীন ও দুস্থদের পাশে দাঁড়ানো জাগো সংগঠন সন্ধান পায় পরিবারটির। পরে ব্রাহ্মণ বাদল কুমার চক্রবর্তী ও অসুস্থ সহধর্মীনি পুর্নিমা চক্রবর্তীর চিকিৎসাসহ তাদের পাশে দাঁড়াতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের অপর্ণা চৌধুরী পাড়ায় ভাড়া বাসায় ছুটে যায় জাগো সংগঠন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে চাউল,ডাল,তেল,পেঁয়াজ,আলু,ময়দা,চিড়া,চিনি,লবণ,চা-পাতা,দুধ,কাপড় ধোয়ার সাবান,লাক্স সাবান, ইনজেশনন,ভায়োডিন ক্রীম, শাড়ি,ধুতি,স্যানিটাইজার,মাস্ক,পরিবারটির হাতে তুলে দেন।
এতে সংগঠনের সভাপতি নয়ন বড়ুয়া ও সংগঠনের সহযোদ্ধা সাংবাদিক অপু দত্ত,আল-মামুন,বিপ্লব তালুকদার,জ্যাকপট,উত্তম দে রনি,দীপক দে,মো: জুবায়ের, মো: আতিক, সৌরভ দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।
জাগো সংগঠন সব সময় অসহায় মানুষের পাশে আছে এবং থাকবে। এ ধরনের জন সেবামুলক কার্যক্রম বাস্তবায়নসহ নিজেদের আত্মনিয়োগের মাধ্যমে “জাগো সংগঠন কাজ করে যাবে। পাশাপাশি সামাজিক ও স্বেচ্ছা সেবামুলক কার্মকাণ্ডের মাধ্যমে অসহায়দের জন্য কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন জাগো সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।