নিজস্ব প্রতিবেদক: খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার বড়পিলাক গ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে এক নিরীহ কৃষক ও তাঁর স্ত্রীকে “দা” দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তাঁর রেজিষ্ট্রিকৃত এবং তাঁর সৃজিত আমবাগান দখল করে নেয় আজাহার গং ও তাঁর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দল। আহত কৃষকের নাম মোঃ নজরুল ইসলাম, সে একই এলাকার সফিকুল ইসলামের ছেলে। এবং দায়ের কোপে গুরুতর আহত নারী নজরুল ইসলামের স্ত্রী মোসলেমা বেগম(৩৫)।
সরেজমিন তদন্ত করে প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানা যায়, গত ১২জুন ২০২১ শনিবার বেলা আনুমানিক ২ঘটিকায় নজরুল ইসলামের ক্রয়কৃত রেজিষ্ট্রিভূক্ত তার সৃজিত বাগান হতে স্ত্রানীয় প্রভাবশালী আজাহার ও তার ছেলেরা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে বাগান থেকে আম পেড়ে নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় নজরুল ও তার ছেলে জহিরুল বাঁধা দিলে আজাহার ও তার ছেলেরা এবং তাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা নজরুল তার ছেলে জহিরুল, তার স্ত্রী মোসলেমা বেগমকে দেশীয় অস্ত্র লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও “দা” দিয়ে কুপিয়ে মারাত্নকভাবে জখম করে জায়গাসহ বাগান দখল করে। এসময় আহতদের মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে তাদের অবস্থা আশংখ্যা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করে। সেখান থেকে তাদের অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ঢাকা প্রেরন করা হয়। উক্ত ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আজাহার বলেন, এটা আমার নিজ নামীয় জায়গা তারা আমাদের কাজে বাধা দেয়ায় আমরা কুপিয়েছি। উপস্থিততো কেউ মারা যায়নি। মারা গেলে তখন দেখা যাবে। তাছাড়া আমিসহ আমাদেরও ৬জন আহত হয়েছে। এঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে একই এলাকার শাহাব উদ্দিন বলেন, জায়গাটা ১২৯নং হোল্ডিং ২৪৭২ ও ২৪৭৪ নং দাগের ২ একর জায়গা যা আমি নিজে নজরুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছি। শুধু তাই নয় জায়গাটি মেপে বুঝিয়ে দিয়েছি। কিন্তু আজাহার গংরা পেশী শক্তির বলে নজরুলের সৃজিত বাগানসহ জবর দখল করেছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নজরুলের প্রতিবেশী রমজান মিয়া বলেন, আমরা জানি জায়গাটা নজরুলের ক্রয়কৃত জায়গা যেখানে সে বাগান বাগিচা করে ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু এই ভাবে আহত করে জায়গা দখল করাটা মঘের মুল্লুকের মতই ঘটনা। আহত নজরুল ইসলাম বলেন, এর আগেও তারা আমাকে আরোও দুইবার ঝামেলা করে আমি গুইমারা থানায় তাৎক্ষনিক জানালেও কোন ধরনের আইনি সহযোগিতা পাইনি। কিন্তু এবারের হামলায় আমি ও আমার স্ত্রী গুরুতর জখম হই। আমার স্ত্রী এখনো শংকা মুক্ত নয়। আমি ন্যায় বিচার চাই। আর তাদের অব্যহত হুমকিতে আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে শংকিত, এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এঘটনা সম্পর্কে গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন উক্ত ঘটনায় পরষ্পর বিরুধী দুটি মামলা হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবো।