পার্বত্য চট্টগ্রামের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে দাবী
আল-মামুন, খাগড়াছড়ি
বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে ঈমাম নওমুসলিম ওমর ফারুক হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবীতে উত্তাল ছিল খাগড়াছড়ি। এই হত্যাকান্ডের জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসকে দায়ী করে সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে ক্কওমী মাদ্রাসা ও ওলামা ঐক্য পরিষদ, ইসলামী রেনেসাঁ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।
মঙ্গলবার দুপরে জেলা শহরের শাপলা চত্তরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকালে হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ । এতে সংহতি প্রকাশ করে যোগ দেয় ইসলামী রেনেসাঁ খাগড়াছড়ি জেলা শাখাসহ স্থানীয় মুসলিম ধর্মের সাধারণ মানুষসহ ইমাম, ওলামারা।
ক্বওমী মাদ্রাসা ও ওলামা ঐক্য পরিষদের পক্ষ বক্তারা ৭ দফা দাবী জানিয়ে অভিলম্বে ঈমাম নওমুসলিম ওমর ফারুক এর হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানান। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচী ঘোষনার হুশিয়ারী জানান সংগঠনটি। একই সাথে পাহাড়ে সেনা ক্যাম্প স্থাপন, চিরনী অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের দাবী ও পার্বত্য চট্টগ্রামে খ্রিষ্টান মিশনারীর কার্যক্রম বন্ধের দাবী জানান বক্তারা। একই সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সন্ত্রাস নিমূলে সরকারের হস্থক্ষেপে কামনা করেন।
ক্বওমী মাদ্রাসা ও ওলামা ঐক্য পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি মাওলানা কারী উসমান গণির সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের মুফতি ইমামুদ্দীন কাসেমী,হাবিবুল্লাহ জাহাঙ্গীর, ইসলামী আন্দোলনের খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, ইসলামী রেনেসাঁর খাগড়াছড়ির সমন্বয়ক ইব্রাহীম খলিল প্রমূখ।
উল্লেখ: গত শুক্রবার (১৮ জুন ২০২১) বান্দরবানের রোয়াংছড়ির তুলাছড়ি পাড়ায় রাতে নামাজ আদায় শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর সন্ত্রাসীরা তাকে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা কারে। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পূর্বে তার নাম ছিল পূর্ণচন্দ্র ত্রিপুরা। তিনি ইতি পূর্বে খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ধর্ম ত্যাগ করায় দীর্ঘ দিন ধরে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছি। এরই সূত্র ধরে গত ১৮ জুন শুক্রবার তাকে ব্রাঁশ ফায়ার করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।