শিরোনাম
মঙ্গল. ডিসে ২৪, ২০২৪

খাগড়াছড়িতে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনে বিরোধিতা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

খাগড়াছড়িতে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের বিরোধিতা করে সেনাবাহিনীর  বিরুদ্ধে  বিভিন্নভাবে অপপ্রচার করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় একটি কুচক্রিমহল নির্মাণাধীন গৃহ ভাংচুর ও ভূমি বেদখলের অভিযোগ তুলে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তির চেষ্টাসহ ক্লিনিক স্থাপন প্রতিরোধ করতে চাইছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার যখন দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো উন্নয়ন কর্মকান্ড ও শিক্ষা-দীক্ষা প্রসারিত করছে, এবং সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থা এগিয়ে নেয়ার দিকে তৎপর হয় তখন উপজাতী তথাকথিত মহল তার বিরোধীতা শুরু করে।

সেনাবাহিনীর মহালছড়ি জোনের উদ্যোগে দুর্গম পঙ্খীমুড়া, ধমনীঘাট এলাকায় সরকারী খাস জমিতে স্থাপন করা হচ্ছে  কমিউনিটি ক্লিনিকটি। এনিয়ে  বিক্ষোভ মিছিল, অবরোধসহ প্রতিবাদ ও ক্লিনিক স্থাপন প্রতিরোধমূলক  নানান কার্যক্রম করছে ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরাম বাংলাদেশসহ  আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফের সহযোগী সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন নেতাকর্মীরা।

ইউপিডিএফ সংশ্লিষ্টদের দাবি, ‘সনেরঞ্জন ত্রিপুরা নামে জমিটির দলিলপত্র রয়েছে। তিনি বাগান সৃজন করে জমিটি ভোগ দখলে রয়েছেন। সম্প্রতি সেখানে সনেরঞ্জন ত্রিপুরার র্নিমাণাধীন ঘরটি ভেঙ্গে একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের  সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।

অপরদিকে সেনাবাহিনী সূত্র জানান, খাগড়াছড়ি  রিজিয়নের অধীনে মহালছড়ি জোনের উদ্যোগে করোনাকালীন সময় থেকে ওই এলাকায় বসবাসরত অসহায় জনগণের প্রস্তাবিত ওই ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা সেবা, মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্যসেবা ও বিনামূল্যে ওষধ সরবরাহ ও  মানবিক সহায়তা কার্যক্রম দেওয়া হচ্ছে। গোষ্ঠী, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে  অসহায় (অসুস্থ) রোগিদের এ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত ক্লিনিকের  জায়গাটি সরকারী (খাস)। সেখানে সনে রঞ্জন নামে কোন লোকের দলিল পত্রের জমি নেই। ওই এলাকার মানুষের মানবিক সহযোগিতার লক্ষে ক্লিনিকটি করা হচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিটি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তাদের তীব্র বিরোধীতা সবসময় চলমান। মহালছড়ি ও সিন্দুকছড়ি সড়কের সরকারি খাস ভূমিতে নিজেরা ঘর নির্মাণ করে আবার নিজেরাই সে ঘর ভেঙে দিয়ে সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করে। কিছুদিন ধরে এটাকে ইস্যু করে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করে সেনাবাহিনীকে বিতর্ক করার অপচেষ্টাও তারা করছে।

খাগড়াছড়ি মহালছডি ও সিন্দুকছড়ি থেকে রামগড় সড়কটি নির্মাণের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধা যেমন হয়েছে তেমনিই প্রতিবেশীদের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনীতির চালিকাশক্তি এগিয়ে নেওয়ার মতো একটি দুয়ার খুলেছে৷ এর বিরোধীতা করে উপজাতী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলো সেনাবাহিনীর এ উন্নয়নমূলক কাজের বিরোধীতা করে মিথ্যা গুজব রটিয়ে দেয় ভূমি দখলের।

যখন মিথ্যা গুজবকে কাজে লাগাতে পারেনি তখন পরিকল্পিতভাবে সড়কের পাশে সরকারি খাস ভূমিতে বাঁশ দিয়ে ঘর নির্মাণ করে আবার নিজেরাই সে ঘরটি ভেঙে দিয়ে সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করছে।

মহালছড়ি সহকারী কমিশনার (ভূমি)তাহমিনা আফরোজ ভূইয়া জানান, সনে রঞ্জন ত্রিপুরা নামে কোন লোকের পক্ষ থেকে ক্লিনিক স্থাপনের জমিটি তার ব্যক্তি মালিকানাধীন- এ ধরনের অভিযোগ বা দাবি তিনি পাননি।  সনে রঞ্জন ত্রিপুরার  নামে অফিসে কোন রেকর্ড বা দলিল পত্র আছে বলে তার জানা নেই।

খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা জানান, আপনারা জানেন পাহাড়ে একটি গোষ্ঠী আছে যারা সবকিছুতে উষ্কানী দিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এখানেও সেই কাজটি হচ্ছে। আমি শুনেছি, ওই জায়গায় কারো ব্যক্তিগত জমি নেই। স্বল্প সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, পাহাড়ে উন্নয়নের বিরোধিতা করার জন্য একটি মহল এখানে সব সময় কাজ করে।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!