নিজস্ব প্রতিবেদক
পার্বত্যাঞ্চলে তিনটি জেলার প্রায় ২৬ হাজার ২শত ২০ কার্ডধারী বাঙালি শরনার্থী পরিবারের রেখে আসা জায়গা-জমি গুলো উপজাতিরা দখল করতে শুরু করে দিয়েছে৷ বাঙালিদের রেখে আসা জায়গা গুলোতে বাঙালিদের পুনর্বাসন না দেয়ার ফলে জায়গা-জমি গুলি অবৈধ দখলে চলে যাচ্ছে।
আরো জানা যায়, পাহাড়ি এলাকায় সরকার থেকে সাহায্য সহযোগিতা আদায় এবং জায়গা দখল করার জন্য ছোট ছোট বাঁশের ঘর গুলো সুযোগ বুঝে ভেঙে দিচ্ছে ইউপিডিএফ। পুড়িয়ে এবং ভেঙ্গে দিয়ে এর জন্য অন্যদের দায়ী করছে।
খাগড়াছড়ি জেলার ৯টি উপজেলায় বাঙালি শরনার্থীরা প্রায় ৮৪ টি গুচ্ছগ্রামে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সরকারে দেওয়া রেশনের উপর তারা নির্ভরশীল। তারা সরকার কর্তৃক পুনর্বাসিত জায়গায় বাগান বাগিচা করে আসলেও তা ভোগ করার ভাগ্য তাদের হচ্ছে না। তাদের রেখে আসা জায়গা গুলো অবৈধ দখলে চলে যাচ্ছে।
গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের বড়ইতলি, নাক্রায়, কুকিছড়া এলাকায় প্রায় ৮শত বাঙালি পরিবারের বসবাস ছিলো।১৯৮৬ সালে পাহাড়ি বাঙালি দাঙ্গায় বাঙালিদের নিরাপত্তার জন্য সরকার তাদের বিভিন্ন গুচ্ছগ্রামে নিয়ে আসে।পরবর্তিতে উপজাতীরা বাঙালিদের সেই সব জমি দখল করে নিচ্ছে। যার ফলে নিরাপত্তার অভাবে বাঙালিরা আর তাদের জমিতে ফিরে যেতে পাড়ছে না। বাঙালিরা সেখানে যেতে চাইলে নানান ভাবে দাঙ্গা তৈরি করে উপজাতীয়রা। বাঙালিদের দাবী তারা তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যেতে চায়।
গুইমারা উপজেলার শরনার্থীদের লিডার মোখলেছুর রহমান বলেন, যারা গুচ্ছগ্রামে মানবেতর জীবন যাপন করছে তাদের পুনর্বাসন অতিজরুরী। সদস্য বৃদ্ধি পাওয়াই পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে গুচ্ছগ্রামে বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় এসকল পরিবার গুলো কে তাদের নিজ জায়গায় ফিরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। যাতে করে তারা সাচ্ছ্যন্দে জীবন যাপন করতে পারে।