আল-মামুন, খাগড়াছড়ি
প্রধানমন্ত্রীর ঘরে খুঁশি গৃহহীন থুইঞো মারমা। কয়েক মাস আগেও সন্তানদের নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করে আসছিলেন পরিবারটি। প্রকৌর রৌদ আর বৃষ্টির পানি নিত্য সঙ্গী হয়ে কাটছিল তাদের জীবন।
হঠাৎ খবর আসে হতদরিদ্রদের স্বপ্নের ঘর করে দিচ্ছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা। পরে আবেদন করে চলমান প্রক্রিয়ায় ঘরের সেই স্বপ্নপূরণ হলো হতদরিদ্র এই পরিবারের। একই চিত্র প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া “গৃহায়ণ প্রকল্পের আওতায় আসা অন্যান্য পরিবারগুলোরও। বলছিলাম খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটির সীমান্ত ঘেঁষা মহালছড়ি উপজেলার কথা। বাড়ী পেয়ে তাদের পূর্বের কষ্টের জীবনের কথা জানান, মহালছড়ি সদর ইউপির আওতায় ঘরপ্রাপ্ত উপজেলার বাসিন্দা হলাংপ্রু মারমা, নাংরেবাই মারমা, থুইঞো মারমাসহ ঘর পাওয়া পরিবারগুলো।
মহালছড়ি উপজেলায় ২০২০-২১ অর্থ বছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারে ২৩২টি ঘর নির্মাণসহ চলমান কাজ প্রায় শেষের পথে। দুই কক্ষ ও রান্না ঘর বিশিষ্ট এসব ঘরে এরই মধ্যে রং থেকে শুরু করে শেষ হয়েছে দরজা-জানালার কাজও। আকারে মাঝারি হলেও দৃষ্টিনন্দন এসব ঘর মাথা গোজার ঠাঁই করে দিয়েছে হতদরিদ্রদের।
মহালছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান রতন শীল বলেন, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে ৭৫টি প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত ঘর বরাদ্ধ পেয়েছি। সুষ্ঠভাবে কাজের গুণগতমান বজায় রেখে যথাযথ ভাবে সকল ঘরের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। আগামী ২০ জুন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘরের চাবী উপকারভোগীরা পাবেন জানিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। পাশাপাশি এই প্রকল্প চলমান থাকলে অসহায় আরো মানুষ এই গৃহায়ণ প্রকল্পের সুবিধা পাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
চৌংড়াছড়ি হেডম্যান ক্যাচিংমিং চৌধুরী গৃহহীনদের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর নির্মাণ প্রকল্পে প্রশাসনের যাছাই-বাছাই প্রক্রিয়ার কথা তুলে ধরে অসহায় মানুষের ঘরের অভাব পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মহালছড়ি সদর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: লাল মিয়া ও উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো: রেজাউল হক মাসুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কণ্যার পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টার কারনেই এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে এবং এ ধরনের উদ্যোগ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন তারা।
মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোবাইদা আক্তার জানান, মহালছড়ির ৪ ইউনিয়নে ২৩২টি প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত ঘর বরাদ্ধ হয়েছে। আগামী ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক উদে¦াধনের মাধ্যমে উপকারভোগীদের মাঝে ঘরের চাবী বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।