নিজস্ব প্রতিবেদক
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়ায় বসবাসরতদের জমি অবৈধ দখলের ষড়যন্ত্র। একই জমির ক্রেতা তিন জন। নূরুল ইসলামের ওয়ারিশ প্রায় ১০ জন হলেও বাকিদের না জানিয়ে সুবেদার নূরুল ইসলামের ছেলে, আবুল হোসেন একাই ৪ একর টিলা ভুমির নামজারী মামলা দায়ের করেছে। ক্রেতা দেখানো হয়েছে সলেহ উদ্দিন কে। অপর দুই ব্যাক্তি রফিকুল আলম ও তাজুল ইসলামের নিকট কোর্ট এফিডেবিট করে ২০১০ সনে নিজ অংশের ৪০ শতক জায়গা বিক্রি করেছেন নূরূল ইসলামের ছেলে মোঃ আলী হোসেন।
সুবেদার নুরূল ইসলামের ছেলে মোঃ আলী হোসেন (৪৩) থানাঃ আখাউড়া, জেলা বিবাড়িয়া, ওয়ারিশ সূত্রে ২২৭ নং হাফছড়ি মৌজা গুইমারা খাগড়াছড়ির ১৪ নং হোল্ডিয়ের ৪ একর ৩য় শ্রেনীর টিলা ভুমি হইতে তার অংশের ৪০ শতক জমি কোর্ট এফিডেবিটের মাধম্যে ২৬ জুলাই ২০১০ সনে সাক্ষীগণ আবু মুছা মানিক, আবুল হাসেম ও মোঃ সুলতান মিয়া এর উপস্থিতিতে মোঃ রফিকুল আলম, পিতা- মৃত, হাজি ওবাইদুল হক, পানখাইয়া পাড়া সড়ক, খাগড়াছড়ি ও মোঃ তাজুল ইসলাম, পিতা- সামসুল হক, পুরাতন জীপ স্টেশন, খাগড়াছড়ি সড়ক এর নিকট বিক্রি করে।
তাছাড়াও সালেহ উদ্দিন উক্ত জমির ক্রয় সুত্রে মালিকানা দবী করেন। তবে দেখা যায় মংসাই মগ, পিতা- মৃত, লাব্রে মগের নিকট থেকে ১৪ নং হোল্ডিং এর ৪ একর জায়গা সুবেদার নুরূল ইসলাম, পিতা- সুন্দর আলী খান ক্রয় করেন। যার ওয়ারিশ গনের মধ্যে তার ২ স্ত্রী ও তাদের ছেলে মেয়ে রয়েছে।
গুইমারা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ ইউচুপ-এর উপস্থিতিতে সালেহ উদ্দিন নূরুল ইসলামের ওয়ারিশ যার থেকে তিনি জমি ক্রয় করেছেন তাকে এনে জমি ক্রয়ের সত্যতা প্রমান করতে চাইলেও কোনো এক রহস্যজনক কারনে এখন সে অপারগতা জানাচ্ছে।
জালিয়াপাড়া গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত নীরহ ফাতেমা বেগম কে এলাকা থেকে উচ্ছেদ করার জন্য সালেহ উদ্দিনের মদদে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র মুলক হামলা, শাররীক নির্যাতন সহ নানা ভাবে হয়রানি করে আসছে মোঃ ফরিদ মিয়া। তাকে কয়েক দফা মারধরের ঘটনা ঘটলেও নিরব জেলা ও উপজেলার মানবাধিকার কর্মী। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরেও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির কেউ কোনো খোজ খবর নেয়নি। এছারাও আশেপাশে বসবাসরত প্রতিবেশিদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে সালেহ উদ্দিন।