নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে কচিকাচা বাঁশ কেটে সমতলে পাচার করা হয় এমন কি এক জায়গার ছাড়পত্র নিয়ে অন্য জায়গা থেকে পরিমানের অধিক বাঁশ বোঝায় করে সমতলে নিয়র যাওয়া হয়।এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব এবং উজাড় হচ্ছে বন। লাভবান হচ্ছে অবৈধ ভাবে বাঁশ নিধনকারী চক্র। নিরাপত্তা বাহিনীর চেক পোস্ট ফাকি দিয়ে মাটিরাঙ্গার টি,পি (ছাড়পত্র) দিয়ে নির্ধারিত পরিমান বাঁশ লোড করে নিয়ে আসলেও গুইমারার বড়পিলাক এলাকা থেকে ৯শত থেকে ১ হাজার বাঁশ অতিরিক্ত লোড করে নিয়ে যাওয়া হয় প্রতিনিয়ত।
৩০ এপ্রিল ২০২১ শুক্রবার বিকাল সারে ৩ ঘটিকার সময় অবৈধ ভাবে অতিরিক্ত বাঁশ লোডের খবর পেয়ে আমরা সরজমিনে উপস্থিত হয়ে বাঁশ বোঝায় অবস্থায় ৩টি ট্রাক (ঢাকা মেট্র ঢ- ১৮-২৯৭৯, চট্র মেট্র ট-১১-৯০১৮, ফেনী ট- ১১-০৬০৫) বড় পিলাক বাঁজার মাঠে ২টি এবং জালিয়াপাড়া সড়কে কিছুদূর সামনে আরো ১টি ট্রাক দেখতে পাই।
এ ব্যাপারে তাদের জিজ্ঞেস করলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাবসায়ী মাটিরাঙ্গার টি,পি বলে স্বীকার করেন এবং জানান নিয়ম মাফিক বাঁশ আনলে তাদের ব্যাবসায় লস হয় যার ফলে লাভের আশায় তারা বিভিন্ন স্থান থেকে অতিরিক্ত বাঁশ লোড করে নিয়ে যায়।
অবৈধ ভাবে বাঁশ ট্রাক বোঝায় করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জালিয়াপাড়া বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন কে জানালে, তিনি জানান, আমি আজকেই এই বিষয়ে অবগত হলাম। ভবিষ্যতে মাটিরাঙ্গার ছাড়পত্র দিয়ে অবৈধ ভাবে অতিরিক্ত বাঁশ বোঝায় করে গুইমারা উপজেলা থেকে সমতল জেলায় নিতে না পাড়ে সেই ব্যাপারে এবং তার নজরে আসলে তিনি সেই বিষয়ে ব্যাবস্থ্যা গ্রহন করবেন।