নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খাগড়াছড়ি জেলায় গুইমারা উপজেলার হাফছড়ির মংসাই মগের পিতা- মৃত, লাব্রে মগের নিকট থেকে ১৪ নং হোল্ডিং এর ৪ একর জায়গা সুবেদার নুরূল ইসলাম, পিতা- সুন্দর আলী খান ক্রয় করেন।মংসাই মগের ছেলে অংসা মগের সাথে যোগাযগ করলে তিনি জানান, আমার বাবা সুবেদার নুরুল ইসলামের নিকট ৪ একর জায়গা বিক্রি করেন যার মূল্য নির্ধারন করা হয় ৬০ হাজার টাকা কিন্তু ৪/৫ হাজার টাকা দেওয়ার পর আমার বাবাকে আর কোনো টাকা দেয়নি সুবেদার নুরুল ইসলাম। এই নিয়ে আমার বাবা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হায় হুতাশ করেছেন। আমরা উক্ত জমি বিক্রির নির্ধারিত টাকা ফেরত দিয়ে জমি ফেরত পাওয়ার জন্য যুগ্ন জেলা জজ, খাগড়াছড়ির নিকট মামলা (দেওয়ানী-৫৩/১০ ইং) দায়ের করলেও টাকার অভাবে আমরা মামলা চালাতে পারিনি।
নুরুল ইসলাম সুবেদার আমাদের বাবার থেকে যেই জায়গা ক্রয় করেছে মর্মে দাবী করছে সেখানে জায়গা বেশি আছে। আমারা তিন ভাই ওয়ারিশ থাকলেও আজ অব্দি তারা আমাদের নিকট হতে জায়াগা পরিমাপ করে বুঝে নেয়নি এবং আমরাও বুঝিয়ে দেয়নি এমতাবস্থায় জায়গা ফেরত চেয়ে আমরা আদালতে মামলা করি। মামালাটি দির্ঘ ৫ বছর চলার পর পারিবারিক ও আর্থিক অসুবিধার কারনে আমরা চালাতে পারিনি।
বর্তমান সময়ে উক্ত জমির দখল নেওয়ার জন্য ক্যাম্পের আশেপাশে ও গুচ্ছগ্রামের নিরিহ বাসিন্দাদের নানান ভাবে হয়রানী ও অত্যাচার করে আসছে একটি তৃতীয় পক্ষ।
গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, তারা মংসাই মগের ছেলে অংসা মগের নিকট উক্ত জমি তে বসবাসের ব্যাপারে বললে সুবেদার নুরুল ইসলামের ওয়ারিশদের জায়গা বুঝিয়ে দেওয়ার পুর্ব পর্যন্ত তিনি তাদের বসবাসের অনুমতি দেন।