শিরোনাম
মঙ্গল. ডিসে ২৪, ২০২৪

গুইমারার জালিয়াপাড়ায় নীরহ পরিবারদের উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র।প্রতিবেদন (৪)

নিজিস্ব প্রতিবেদকঃ খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত নীরহ পরিবার কে এলাকা থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র মুলক মামলা, হামলা, শাররীক নির্যাতন সহ নানা ভাবে হয়রানি করে আসছে মোঃ সালেহ উদ্দিন, মোঃ ফরিদ মিয়া ও মোঃ হানিফ সহ একটি দুষ্টচক্র।

সুফিয়া বেগম জানান, আমরা দীর্ঘ ৩৪ বছর যাবৎ অত্র গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত আছি। মোঃ সালেহ উদ্দিন নামক এক ব্যাক্তি আমাদের বসবাসের জায়গা ও সৃজনকৃত ফলজ গাছ জোর করে ভোগ দখল করার চেষ্টায় আছে। ২৬ এপ্রিল সোমবার জোর পূর্বক আমাদের ফলদ কাছে কীটনাশক দিতে আসিলে আমি বাঁধা দিলে সে আমাকে মারধরের উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসে, এবং নানান অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হুমকি ধামকি দেয়।

প্রতিবেশিদের নানান ভাবে হয়রানী করছে সালেহ উদ্দিন। জাবেদ আলী জানান, তার বাসায় বিদ্যুৎ নেওয়ার জন্য মিটার বসাতে চাইলে সেখানে বাঁধা প্রদান করে সালেহ উদ্দিন। প্রতিবেশিদের চলাচলের পথে বাঁধা সৃষ্টি করে এবং মরিয়ম বেগম নামক এক বিধবা মহিলার ঘরে তালা মেরে জোর দখল করার চেষ্টায় আছে সে।

অভিযোগের ব্যাপারে সালেহ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে, ফাতেমা বেগম, সুফিয়া বেগম, মরিয়ম বেগম এবং জাবেদ আলীর সহ ৭/৮ পরিবার বসবাসের জয়ায়গা সালেহ উদ্দিন ক্রয় সূত্রে মালিকানা দাবী করেন। প্রতিবেশিদের মতে দাবীকৃত জায়গা চৌহদ্দি অনুযায়ী ক্যা¤েপর পশ্চিম পার্শে সেগুন বাগান অবস্থিত জায়গা কিন্তু সে ফাতেমা গংদের বসবাসের জায়গা এবং পুর্বের ক্যা¤েপর সরকারী খাস জায়গা নিজের বলে দাবী করছে।

তাছাড়াও সালেহ উদ্দিন সহ আরো ২ জন উক্ত জমির ক্রয় সুত্রে মালিকানা দবী করেন। তবে দেখা যায় মংসাই মগ, পিতা- মৃত, লাব্রে মগের নিকট থেকে ১৪ নং হোল্ডিং এর ৪ একর জায়গা সুবেদার নুরূল ইসলাম, পিতা- সুন্দর আলী খান ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত জায়গা তাজুল ইসলাম সহ তিন জনের ক্রয় করে দাবী করলেও অদ্যব্দি কেউ ক্রয় বিক্রিয়ের কাগজ দেখাতে পাড়েনি।

নামজারি মামলা নং-৭০/রাম/১৫ অনুযায়ী আবেদনকারী আবুল হোসেন পিতা মৃত সুবেদার নুরূর ইসলাম, সাং- ২২৭ নং হাফছড়ি মৌজা রামগড় উপজেলা খাগড়াছড়ি, ৪ একর ৩য় শ্রেণীর ভুমির জন্য নামজারি মামলা দায়ের করে। যার ক্রেতা মোঃ সলেহ উদ্দিন খান পিতা- কাদের খান। উক্ত মামলাটি আদালতে প্রক্রিয়াধীন আছে। নামজারি মামলাতে নুরুল ইসলামের সকল সকল ওয়ারিশের নাম উল্লেখ না করে শুধু মাত্র আবুল হোসেনের নাম উল্লেখ করেন এবং ওবশিষ্ট ২ পরিবারের বাকি ওয়ারিশদের নাম নামজারি মামলায় প্রতিবেদনে উল্লেখ করে  নাই। যার ফলে নামজারি মামলায় করা আবেদনটাও প্রশ্নবিদ্ধ। 

অপরদিকে তাজুল ইসলাম নামক খাগড়াছড়ির এক ব্যাবসায়ী নুরূল ইসলামের পরিবারের লোকজন থেকে জায়গা ক্রয় করে টাকা দিয়েছে বলে দাবী করেন। এই নিয়ে রামগড় উপজেলা ভুমি অফিসে এসি ল্যান্ড বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছে। যার ফলে বিভিন্ন অভিযোগের কারনে নামজারি মামলাটি স্থগিত আছে। 

হাফছড়ি ইউ,পি সাবেক মেম্বার এবং গুইমারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আইয়ুব আলী জানান, গুচ্ছগ্রামে কিছু নিরীহ পরিবারকে ক্যাম্পের টিলা ভুমি ক্রয়ের নামে হয়রানী করছে সালেহ উদ্দিন। যদি সুবেদার নুরুল ইসলাম বা তার ওলী ওয়ারিসের থেকে টিলা ভুমি কিনে থাকে তাহলে প্রমান সহকারে তা উপস্থাপন করলে আসল রহস্য বেড় হয়ে যাবে।
জাতীয় দৈনিক প্রত্রিকায় জালিয়াপাড়ার নীরহ পরিবারদের নির্যাতন, হয়রানীর সংবাদ প্রকাশের পর গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার উভয় পক্ষের কথা শুনেন এবং সালেহ উদ্দিন কর্তৃক কোন রকম হয়রানী ও অন্যায় ভাবে কিছু করলে আইনের আশ্রয় নিতে ভুক্তভগিদের পরামর্শ দেন।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!