নিজস্ব প্রতিবেদক:: করোনার ভয়াল থাবায় সারাদেশ বিপর্যস্ত। বেড়েছে মৃত্যুর মিছিল। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে আশঙ্কা জনকহারে। সব মিলিয়ে মৃত্যু আতঙ্ক চারদিকে। তার উপর চলছে লকডাউন। সব মিলিয়ে কষ্টের শেষ নেই নিম্ন আয়ের মানুষের । লকডাউন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়ে তাদের অবস্থা এখন সংকটময়। নেই সরকারি-বেসরকরী কোন ত্রান সহায়তাও।
এদিকে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতিতে এখন লাগামহীন মাছ,মাংস,খাবার তেল,চাল,ডাল ও সবজি বাজার। সব কিছুই ক্রয় ক্ষমতার নাগালের বাহিরে নিম্ন আয়ের মানুষের। যার ফলে সীমাহীন কষ্টে ক্ষুধার জ্বালায় জীবনযাপন করছেন কর্মহীনরা। তাই বাধ্য হয়ে কাজের সন্ধানে পেটের তাগিদে রাস্তায় নামছেন শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। তবে তেমন ভালো নেই মধ্যবিত্তরাও।
কেউ চালাচ্ছে রিক্সা, কেউবা আবার দৈনিক চুক্তি ভিত্তিতে কাজ করে সংসারের অভাব অনটন দুর করতে কাজ করলেও এখন আর তেমন কাজও নেই। করোনা আতঙ্কিত চারদিকে শুধুই শুন্যতা। এদিকে পরিবহণ শ্রমিকরা লকডাউনের ফলে কর্মহীন অলস সময় পার করছে। ফলে সংসারের অভাব-অনটনে অর্ধহারে-অনাহারে জীবন কাটাতে হচ্ছে তাদের এমনটি জানিয়েছে তারা। করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার টানা ২ সপ্তাহের লকডাউনের গাড়ী চলাচল বন্ধ থাকায় নেই অর্থ,টাকা-পয়সা। এরপর আবারো ১ সপ্তাহের জন্য লকডাউন বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্তের ফলে চিন্তার শেষ নেই তাদের।
তারা জানান, দৈনিক গাড়ী চলাচল করলে কাজের হিসাবে কোন রকম পেটে চলে তাদের। চলে সংসারের চাকাও। বর্তমান অবস্থায় পরিবহণ শ্রমিকদের খোঁজ কেউ নিচ্ছে না বলেও হতাশার কথা জানান তারা। সরকারি নানা সহায়তার কথা উল্লেখ করে পরিবহণ শ্রমিকরা জেলা প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন।
এদিকে-খাগড়াছড়ির পরিবহণ শ্রমিক মিন্টু,আলা উদ্দিন, জানান, পরিবার সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে আছি। কষ্টের কথা কাউকে বলতেও পারছি না। ঘর ভাড়া থাকতে হয়। তাও দিতে পারছি না। পাওনাদাররাও তাগাদা দিচ্ছেন টাকার জন্য। হাতে নেই টাকা-পয়সাও। আগামী দিনগুলোতে পরিবার নিয়ে কীভাবে চলবো? তা নিয়ে চিন্তায় দিন কাটছে বলে জানান। খাগড়াছড়িতে সর্বমোট ১৮শ পরিবহণ শ্রমিক থাকলে তাদের কোন সেক্টর থেকে এখন পর্যন্ত কোন সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ করেন।
খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহণ চালক সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সাধারন সম্পাদক মো: ইউনুছ মিয়া বলেন, গতবারও লকডাউনে পরিবহণ শ্রমিকদের কোন ধরনের সহায়তার হাত বাড়ায়নী প্রশাসন। এবারও তাই। লকডাউনে পরিবহণ শ্রমিকদের জীবন কষ্টে চললেও দেখার কেউ নেই বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সে সাথে তিনি আরো বলেন, কষ্টে যাদের জীবন গড়া,তাদের আবার কষ্ট কিসের।