নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে ভূমি জবর দখল,অনিয়ম,জোর করে দীর্ঘ দিনের সৃজিত গাছ কেটে ফেলার ফলে বাড়ছে জটিলতা। প্রকোট হচ্ছে বিরোধ। আর এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলেও আইন প্রয়োগকারীর সংস্থার পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা না নেওয়া ভেঙ্গে পড়েছে আইনের শাষন। ফলে বেড়েই চলেছে অনিয়ম-দূনীতি থেকে শুরু করে গ্রামীণ সমাজের দাপটেদের দৌরত্ম। তাই পুলিশ প্রসাশনের পক্ষ থেকে অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেছে ভুক্তভোগীরা।
মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী এলাকায় এক শ্রেণীর দুষ্কৃতিকারী প্রতারক চক্রের ছত্র-ছায়ায় ভুয়া কাগজ পত্র এবং একেক সময় একেক কাগজ হাতে লিখে দলিল হিসেবে ব্যবহার করতে দেখা যায়। এই সকল চক্রের প্রতারণা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী করে ভুক্তভোগীরা এই কিছুর পরও দেখার কেউ নেই বলে মন্তব্য করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন আইনের আওতাই এনে শাস্তি নিশ্চিত করলে, এসব অনিয়ম ও জটিলতার মুল উৎপাটন সম্ভব বলে মনে করছে সচেতনমহল।
মানিকছড়ির বিভিন্ন এলাকায় ভূমি বিরোধকে কেন্দ্র করে মামলা-হামলাসহ অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে ভূমি জটিলতার নিরসনের দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যাক্তিদের উদাসীনতায় ভূমি জটিলতা, প্রতারক,দুষ্কৃতিকারী ও দূর্নীতিবাজরা স্থানীয় বাসিন্দাদের রেকর্ডিয় ভূমিতে জটিলতা সৃষ্টি করছে।
ইতিপূর্বে, মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী মধ্যপাড়ার ভুক্তভোগী ছিদ্দিক আহাম্মদের ছেলে শাহ আলম ও আবু তালেব জানান, গত ১৮ মার্চ ২০২১ সকালে এরশাদ মিয়া সহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন লোকজন নিয়ে নামীয় জায়গা হইতে ০৩ (তিন) টি চাপালিশ গাছের মধ্যে ০১ টি কেটে ফেলে এবং অপর দুটি কাটার জন্য প্রস্ততি নিলে তারা দেখতে পেয়ে এরশাদ মিয়াকে তা কাঁটতে বাঁধা দিলে বাধা অমান্য করে।
এছাড়াও, মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অন্য লোকের প্ররচণায় ভুয়া কাগজ পত্র সহ এরশাদ মিয়া মানিকছড়ি উপজেলা কার্যালয়ে নির্বাহী অফিসারকে লিখিত দরখাস্ত দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে,মানিকছড়ি উপজেলা কার্যালয় থেকে ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার শাহজাহান সরকার সহ কয়েকজন লোক আদালতের পুর্বের রায় অমান্য করে না জানিয়ে শাহ আলম ও আবু তালেব গংদের জায়গা মাপার জন্য যায়। তৎক্ষনিক ভুক্তভোগীরা সাংবাদিক নুরুল আলমকে জানালে ১১ এপ্রিল সকাল ১১ ঘটিকায় তিনি দ্রুত খাগড়াছড়ি থেকে মানিকছড়ি উপজেলা ভূমি অফিস কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পূর্বের চুড়ান্ত ভূমি সংক্রান্ত রায়ের কপিসহ একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
তাছাড়াও, শাহিন,শাহজাহান, এরশাদ এবং মঙ্গল মিয়া নামের কয়েকজন মিলে আদালতের দেওয়া উচ্ছেদের চুড়ান্ত রায় কে অমান্য করে দেশের প্রচলিত আইনের তোয়াক্কা না করে জোর পূর্বক একেক সময় একেক ভাবে ভাড়া করা সন্ত্রাস নিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টা ও গাছপালা কেটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছে। এসকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মদদ দাতা হিসেবে তিনটহরীর আলী হোসেনের নাম উঠে এসেছে। যার কাজ ভুয়া কাগজ পত্র লেখা এবং ব্যাক্তি বিশেষের দালালি করা। এসকল ব্যাক্তির বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সরকারের দায়িত্বরত ভূমি কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর এসকল অবৈধ জমি দখলদার, ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকা ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছে সচেতনমহল।