শিরোনাম
মঙ্গল. ডিসে ২৪, ২০২৪

খাগড়াছড়িতে অবৈধ ভাবে জ্বালানী কাঠ পাচারের ফলে বন উজাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক: খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা, মানিকছড়ি, লক্ষীছড়ি, রামগড় সহ বিভিন্ন এলাকায় জ্বালানী কাঠ সংগ্রহের নামে চলছে বন উজাড়। চট্টগ্রাম জেলাধীন ফটিকছড়ি, নাজিরহাট সহ বিভিন্ন এলাকায় ইটের ভাটা সহ নানান খাতে ব্যাবহারের জন্য পাচার হচ্ছে জ্বালানী কাঠ। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে ইট ভাটা আর কয়লার চুলা। এসকল ইট ভাটায় ইট পোড়াতে এবং কয়লা তৈরিতে প্রয়োজন প্রচুর পরিমান জ্বালানী আর এই জ্বালানীর জন্য বন জঙ্গল উজাড় করে সংগ্রহ করা হচ্ছে কাঠ। যার ফলে পাহাড় বন জঙ্গল গাছপালা শূন্য হয়ে বিরান ভুমিতে পরিনত হচ্ছে।
দৈনিক টনকে টন কাঠ জীপ গাড়ি, পিক-আপ এবং ট্রাকে করে নেওয়া হয় ইট ভাটা এবং কয়লার চুলায়। এবং রাতের আধারে এসব জ্বালানী কাঠ পাঠানো হচ্ছে জেলার বাহিরেও। নির্দিষ্ট কিছু চক্র কে চাঁদা দিয়ে চলছে এই অবৈধ কর্মকান্ড। কাঠ সংগ্রহের ক্ষেত্রে টিবি অনুমোদন লাগলেও এসকল দুষ্টচক্র তা অমান্য করেই তাদের অবৈধ ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই অবৈধ কর্মকান্ড কে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বৈধতা দিচ্ছে কিছু প্রভাবশালী মহল।
পাহাড়ের সবুজ, শ্যামল পরিবেশের জন্য খাগড়াছড়ি অন্যতম জেলা। কিন্তু জ্বালানীর নামে যেভাবে পাহাড়ের এই বন জঙ্গল বিলীন করা হচ্ছে তাতে তা মরূভুমিতে পরিনত হতে সময় লাগবে না। মারাত্নক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পরিবেশ বিলীন হচ্ছে বানের পশু- পাখি । সব মিলিয়ে সৃষ্টি হচ্ছে এক নতুন বিরান ভুমি।
পার্বত্যাঞ্চলে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ীরা কয়লা তৈরির জন্য সংগ্রহ করছে বন জঙ্গলের কাঠ তা পুড়িয়ে তৈরি করছে কয়লা। যার ফলে একদিকে গাছপালা উজাড় হয়ে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য অপর দিকে কয়লার চুলার ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে বায়ুমন্ডল, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বায়ুমন্ডলের ওজন স্তর যা ঘটাতে পারে জলবায়ুর পরিবর্তন।
স্থানীয় সচেতন মহল জানান, পাহাড়ে জ্বালানীর নামে বন উজারের ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের নেই কোনো পদক্ষেপ প্রশাসন ও যেন নীরব ভুমিকা পালন করছে। যার সুবাদে অসাধু ব্যাবসায়ীরা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের বন উজারের প্রতিযোগিতা। দ্রুত এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা না হলে বিলীন হয়ে যাবে পাহাড়ের গাছ-পালা ও পশু পাখি।
খাগড়াছড়ি জেলার বিভাগীয় বন কর্মকর্তার অধীনে মানিকছড়ি উপজেলা রেঞ্জ ও গাড়িটানা পরীক্ষণ ফাড়ি কর্মকর্তা উলাহমং চৌধুরীর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে জ্বালানী ও গোল কাঠ রাতের আধারে পাচারের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার পরীক্ষণ ফাড়ির সামনে দিয়ে তেমন উল্লেখযোগ্য কাঠের গাড়ি যায় না। তবে বাড়ি ঘরে ব্যাবহারের জন্য চাঁদের গাড়িতে (জীপ গাড়ি) করে কিছু জ্বালানী কাঠ সমতলে যায়। অধিকাংশ জ্বালানী ও গোল কাঠ রাতের আধারে বিকল্প রাস্তা দিয়ে পাচার হয়। আমার লোক বলের অভাবে ও তেমন কোনো সহযোগিতা না পাওয়ায় অবৈধ পন্থায় এক শ্রেনীর কাঠ ব্যাবসায়ী কাঠ পাচার করে যাচ্ছে।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!