নিজস্ব প্রতিবেদক: খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে গত এক মাসে মুসলিমপাড়াসহ ২৭টি স্পর্টে রমরমা জুয়ার আসর। একই সাথে গুইমারা থানার ওসি মো: মিজানুর রহমানের সহায়তায় অবাধে চলছে অশ্লীল নৃত্য।পুলিশ প্রশাসন অবৈধ এই রমরমা জুয়া বাণিজ্য বন্ধের স্থলে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে মেলা ও জুয়া পরিচালনায় সহায়তার অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।এতে করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জুয়ারিরা। ঘটছে সামাজিক অবক্ষয়সহ নিম্ন আয়ের পারিবারগুলোর মধ্যে বিরোধ।এসব কারণে অনুমোদনহীন এসব জুয়ার রমরমা বাণিজ্য,অশ্লীল নৃত্যসহ সাধারন মানুষের পকেটকাটা এ বাণিজ্য বন্ধের দাবী জানিয়েছে এলাকার সচেতন নাগরিক সমাজ।স্থানীয়দের অভিযোগ, জুয়া বন্ধে পুলিশের সহযোগিতা চাইলেও গুইমারা থানার ওসি মোঃ মিজানুর রহমান রহস্যজনক কারনে গত ২৮ তারিখ রবিবার রাতে মুসলিমপাড়ার ইন্দ্রমনি কারবারি পাড়া সরকারি প্রাইমারী স্কুল মাঠে আয়োজিত অনুমোদন বিহীন প্যাকেজ অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর বন্ধ করেনি বরং জুয়া খেলতে নিরাপত্তা দিয়েছে স্থানিয় মেম্বার, হেডম্যান, কারবারি এমনি অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে ।বিভিন্ন এলাকায় জুয়ার আসর বসানো ও পরিচালনার জন্য কমিটি গঠন করা হয় । কমিটিতে রাখা হয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের । মেলা ও জুয়া চলার আগেই এলাকার দুষ্ট চক্র চাঁদাবাজ, সাংবাদিক নামধারী কিছু অর্থলোভীরাও মোটা অংকের চাঁদা নিতে রাতে এই অবৈধ জুয়া ও অশ্লিল নৃত্য চালানো স্পর্টে ধাপিয়ে বেড়াচ্ছে ।মুসলিম পাড়ার ইন্দ্রমনি পাড়া স্কুল মাঠে মেলা কমিটিতে অন্তরভুক্ত ছিলেন নুর ইসলাম মেম্বার, বিনয় চাকমা, সুমনসহ প্রায় বিশ জন । মেলায় প্রায় ৮টি জুয়ার বোর্ডে খেলা চলছে ।উল্লেখিত, প্রকাশ্যে জুয়া খেলার বিষয়ে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহমেদ গত আইন শৃংখলা মিটিং এ জুয়া বন্ধের নির্দেশনা দিলেও তা মানা হচ্ছে না। উল্টো প্রশাসনের সর্বাত্মক সহায়তায় চলছে এ অবৈধ কর্মযজ্ঞ। এত সবের পরও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা না নেওয়া ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে উপজেলাবাসী।অবৈধ রমরমা জুয়া ও অশ্লীল নৃত্য বন্ধের বিষয়ে কথা বলায় সাংবাদিকদের দেখে নেওয়াসহ নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। Post navigation ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বন্ধ হল জুয়া ও প্যাকেজের নামে অশ্লীল নৃত্যমাটিরাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ,১৯ জনকে জরিমানা