নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ির গুইমারা বাজারপাড়া এলাকার বাসিন্দা তিন সন্তানের জনক সোহেলের
হাত ধরে কুমিল্লা জেলার সৌদিআরব প্রবাসী মোবারক হোসেনের স্ত্রী রিনা বেগম তার ৮ বছরের কন্যা সন্তান রেখে পালিয়ে যায়।
যানাযায়, কন্যা সন্তানকে বাড়িতে রেখে মার্কেটে যাবে মর্মে স্বামীর গচ্ছিত টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে ঘর থেকে বের হয়। তারপর বাড়িতে না আসায় ফোনে বার-বার যোগাযােগের চেষ্টা করলে তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। অভিযোগ সূত্রে যানাযায়, রিনা বেগম গত ৩ বছর পূর্বেও একবার পালিয়েছিল।
সেই সূত্র ধরে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা বাজার পাড়া বাসিন্দা মোসলেম মিয়ার ছেলে ফার্নিচার ব্যবসায়ী সোহেলের বাড়িতে রিনা বেগম রয়েছে। গত ২৩ মার্চ ২০২১ইং সন্ধার পরে স্থানীয় জনার্ধন সেন মেম্বারের সহযোগিতায় সোহেলের বাড়িতে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর নিশ্চিত হন যে রিনা বেগম তারই কাছে
রয়েছে ।
স্থানীয় মেম্বার পরের দিন সকাল ১০ ঘটিকা গন্যমান্যের মাধ্যমে সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদে তাহার স্বামী মোবারককে ডিভোর্স অথবা সোহেলের কাছে বিবাহের বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। পরে মেয়ের মা ও আত্মীয় স্বজন গুইমারা থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানার দ্বায়িত্বরত কর্মকর্তা রিনা ও সোহেলকে থানায় নিয়ে আসলেও রহস্যজনক কারনে ছেড়ে দেন বলে ভুক্তভোগির অভিযোগ। তাছাড়াও রীনা বেগমের আনিত টাকা-পয়সা ও স্বর্ণ-অলঙ্কার উদ্ধারে পুলিশ কোন প্রকার সহযোগীতা করেনি বলে জানান।
উল্লেখিত ঘটনায় গুইমারা থানার অফিসার ইন্ধসঢ়;চার্জ মিজানুর রহমান বাদির অভিযোগ গ্রহন না করে অসহযোগিতা মুলক আচরনের ব্যাপারে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো: আব্দুল আজিজ-কে মুঠো ফোনে ঘটনার বিস্তারিত জানালে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। এই মাত্র জানতে পারলাম। এই
বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।