নিজস্ব প্রতিবেদন:: গুইমারা উপজেলার বড়পিলাক এলাকায় রেজওয়ানুল হক নামক এক ব্যক্তি, নিরপরাধ একটি পরিবারকে সর্বশান্ত করে দিচ্ছে এবং নিজেদের গাছ নিজেরা কেটে মাহবুব আলী ও তার ২ ছেলের বিরুদ্ধে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায় ২৯ জানুয়ারী কোন ঘটনা ছাড়াই রেজওয়ানুল হক বাদী হয়ে গাছ কাটার (সাজানো) মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে, কিন্তু পুলিশ বাদীর পক্ষে অবম্লন করে সুষ্ঠ তদন্ত না করে শাহজাহান আলীকে ২৯ জানুয়ারী দুপুর ২টায় বড়পিলাক থেকে পুলিশ আটক করে, তারপর দিন আদালত থেকে শাহজাহান আলী জামিনে মুক্তি পায়। ৪ ফেব্রুয়ারী একই মামলার আসামী রনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত রনিকে জামিনে মুক্তি দেয়, এবং অপর আসামী মাহবুব আলী ৮ ফেব্রুয়ারী কোর্টে আত্মসমর্পণ করলে তার জামিন নামমঞ্জুর করে
জেল হাজতে প্রেরণ করে। দীর্ঘ ৬য় দিন পর মাহবুব ১৪ ফেব্রুয়ারী আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায়। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাদী নিজেদের গাছ নিজেরা কেটে মাহবুব সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে। এবং ৫জন শ্রর্মীক নিয়ে তার ভাই আশ্ররাফুলের বাগান থেকে গাছ কেটে একটি গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যায় এবং গাছ কাটার সময় মামলার বাদী ও পুলিশের উপস্থিতে গাছ গুলো কাটা হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকেরা গাছ কাটা শ্রমিকদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায় আমাদেরকে রেজওয়ানুল হক তার বড় ভাই আশ্ররাফুলের বাগান থেকে গাছ কাটার জন্য ৫ জনকে ৪৫০টাকা করে বেতন দিয়ে নিয়ে গেলে আমরা ৮টি গাছ কেটে বিভিন্ন সাইজে ২৯ পিস করে থাকি।
মামলার আসামীর সূত্রে জানা যায় গাছ কাটার ৩দিন পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১ ফেব্রুয়ারী পুলিশের উপস্থিতে উল্লেখিত ৫শ্রমিকে নিয়ে গাছ কাটেন এবং গুইমারা থানায় একটি গাছ কাটার মামলা দায়ের করেন, যাহার মামলা নং- ভুলবসত ৩৯/২১লেখা হয়েছিল, সঠিক মামলা নং হচ্ছে, ৩৬/২১।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায় বড়পিলাকের রেজওয়ানুল হক সহ এস আই ফরহাদ তার সাথে থাকা কয়েকজন পুলিশের পাহারায় গাছ কেটে শাহজাহান মোল্লার পিকাপ নং ঢাকা-মেট্টো ন ২১-০৮১০ করে গুইমারা থানার গাছ গুলো নিয়ে যায় ।
অপর দিকে গাছ কাটা শ্রমিকের মধ্যে রেজাউল করিম জানায় আমরা গাছ কাটার শ্রমিক হিসেবে আমাদেরকে রেজওয়ানুল হক গাছ কাটার জন্য নিয়ে যায়। গাছ কাটা সম্পুর্ন হলে গাছ গুলি পিকাপে করে ৪শ্রমিক মিলে তোফাজ্জল হোসেন, ওমর আলী, মোবারক হোসেন, ফারুখ সহ গাড়ির ড্রাইভার সহ গাছ গুলি থানায় পৌছে দেই।
অভিযোগকারী রেজওয়ানুল হকের সাথে টেলিফোনের মাধ্যমে গাছ কাটা সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকের প্রশ্নে উত্তর না দিয়ে মামলা হয়েছে বলে ফোনটি কেটে দেয়।
তদন্ত কারী কর্মকর্তা এস.আই. ফরহাদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ২৯জানুয়ারি রেজওয়ানুল হক থানায় হাজির হয়ে গাছ কাটার একটি মামলা করে। ১ ফেব্রুয়ারী তিনি ঘটনা স্থলে গিয়ে কিছু কাটা গাছ পরিত্যাক্ত অবস্থায় দেখতে পায় এবং বাদী ও আমি উপস্থিত থেকে গাছ গুলো (সেকসন) করে ৫জন শ্রমিক দ্বারা ২৯ পিস গাছ থানায় এনে জব্দ তালিকা করি ।