নিজস্ব প্রতিবেদক,খাগড়াছড়ি:: খাগড়াছড়ি জেলা যুবলীগ সভাপতি যতন কুমার ত্রিপুরা শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। পঞ্চাশোর্ধ এই যুবনেতা মৃত্যুকালে এক কন্যা-স্ত্রীসহ অসংখ্য স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
যতন ত্রিপুরা’র মৃত্যু সংবাদে খাগড়াছড়ির সকল মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁর মরদেহ জেলা শহরের খাগড়াপুরস্থ বাসভবনে নিয়ে আসলে রাজনৈতিক-সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছুটে যান। নিজবাড়িতে এবং দুপুরে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলের শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হয়।
তাঁর মৃত্যুতে খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, সাবেক সংসদ সদস্য যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বর্ষীয়াণ রাজনীতিক-বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, পার্বত্য চট্টগ্রাম হেডম্যান নেটওয়ার্ক-এর সভাপতি ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’র জাতীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য কংজরী চৌধুরী।
এছাড়াও জেলা আওয়ামীলীগের সা: সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: শানে আলম, খাগড়াছড়ি জেলা আইনজীবি সমিতি’র সভাপতি এড. আশুতোষ চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সা: সম্পাদক জুয়েল চাকমা, সহ-সভাপতি সাংবাদিক নুরুল আজম, মারমা উন্নয়ন সংসদ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মংপ্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে)-এর সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী ও সা: সম্পাদক সৈকত দেওয়ান, বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নলেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও সা: সম্পাদক অনন্ত কুমার ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতি’র সা: সম্পাদক এস. অনন্ত ত্রিপুরা এবং খাগড়াছড়ি পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন-এর সা: সম্পাদক সাংবাদিক মুহাম্মদ আবু দাউদ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, জেলার মানিকছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত সাপমারা এলাকার সত্তর দশকের শুরুর দিকে জন্ম নেয়া যতন কুমার ত্রিপুরা ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। বিগত ২০০১ থেকে ২০০৫ সালে ‘বিএনপি-জামাত’ শাসনামলে জেল-জুলুম ও নির্যাতনের মুখোমুখি হন।