নিজস্ব প্রতিবেদক:: জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রামগড়ে মেয়র পদে প্রার্থী হিসাবে আলোচনার শীর্ষে পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল আলম কামাল। তফসিল ঘোষনার পূর্বেই আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা নিজ দলীয় মনোনয়ন পেতে শুরু হয়েছে লবিং। অনেক আগে থেকেই ব্যানার-ফেস্টুনের পাশাপাশি স্থানীয় পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক মাধ্যমে প্রার্থীতার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা।
রামগড় পৌরসভাটি গঠিত হওয়ার পর থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে সর্বপ্রথম মেয়র পদটি বিএনপি’র দখলে থাকলেও, ২০১১ সালের পৌর নির্বাচনের পরে মেয়র পদটি আওয়ামী লীগের দখলে আসে, পরবর্তিতে ২০১৬ সালের পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলিয় প্রতীক নৌকার প্রার্থী বিশ্ব ত্রিপুরাকে পরাজিত করে মেয়র পদটি দখল করেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কাজী শাহাজাহান রিপন।
পরবর্তিতে ২০১৬ সালের পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কাজী রিপন ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের মধ্যে শুরু হয় কোন্দল। উক্ত দলীয় কোন্দলের প্রভাব পড়তে থাকে তৃনমুলের নেতা-কর্মিদের উপরে, উক্ত কোন্দলে সাধারন নেতাকর্মীদের মাঝে শুরু হয় বিভক্তি, তারপর শুরু হয় মামলা হামলা। বর্তমানেও উক্ত গ্রæপিং এর প্রভাব রয়ে গেছে পৌর এলাকায়। তারপর দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলিয় সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে নির্বাচনের দায়ে কাজী রিপনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এরই মধ্যে আগামী ২০২১ সালের পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কয়েকজন প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মুখে আসন্ন রামগড় পৌরসভা নির্বাচন ২০২১ এর সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মিদের আলোচনায় যার নাম শীর্ষে উঠে এসেছে তিনি হলেন- রামগড় পৌর আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা মো: রফিকুল আলম কামাল।
রফিকুল আলম কামাল রামগড় পৌর আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি ও একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি ২০০২ সালে তৃনমুলের বিপুল ভোটে রামগড় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন, এরপর তিনি ২০১১ সালে তৃনমুলের বিপুল ভোটে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি রামগড় পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে দায়িত্বে আছেন।
রামগড় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার ফারুক বলেন, রামগড়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের মানবিক মূল্যবোধেরও উন্নয়ন করা জরুরি বলে আমি মনে করি। সামনে পৌর নির্বাচন, উক্ত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই রামগড়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে, আমি মনে করি রফিকুল আলম কামাল একজন যোগ্য মেয়র প্রার্থী।
রামগড় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: মোস্তফা হোসেন, সাধারন সম্পাদক কাজী নুরুল আলম আলমগীর বলেন, কামাল ২০০২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দলের দুঃসময়ে রামগড় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসাবে সংগঠনের নেতৃত্ব দেয়, তৎকালিন বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে প্রচুর মামলা হামলার শিকার হয় কামাল। তারপর সে ২০১১ সালে তৃনমুলের ভোটে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়। সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর রামগড় পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের শত শত নেতাকর্মী কামালের নেতৃত্বে আওয়ামী রাজনীতিতে একটি সাংগঠনিক বলয় তৈরি করেছে। মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই তার রাজনৈতিক জীবন মূল্যায়ন করা উচিত। রামগড়বাসী নৌকার বিরোধীতাকারীদের মনোনয়ন না দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তে অনড়। বর্তমান পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা কামাল ত্যাগি,বিশ্বস্ত,নিরাপদ ও পরীক্ষিত ব্যক্তি।
রামগড় উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক কাজী আমির হোসেন বলেন, রামগড় একটি প্রাচীন মহকুমা ও একটি সীমান্ত ঘেষা পৌর শহর,এখানে ভারত বাংলাদেশের ট্রানজিটের কাজ চলমান, রফিকুল আলম কামাল রামগড়ের একটি সভ্রান্ত পরিবারের সদস্য। কামাল ত্যাগি ও শিক্ষিত ছেলে। সে মেয়র পদে নির্বাচিত হলে সততা ও দক্ষতা দিয়ে রামগড়কে একটি মডেল শহরে রুপান্তর করতে পারবেন। রামগড় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নুরুল আলম জিকু বলেন, তৃনমুলে রফিকুল আলম কামাল খুবই জনপ্রিয় ব্যক্তি। মেয়র পদে তিনি একমাত্র যোগ্য প্রার্থী।