আল-মামুন,খাগড়াছড়ি:: পার্বত্য চুক্তিতে সাংঘর্ষিক ও বৈষম্যমূলক ধারাগুলো সংশোধন করে চুক্তির পূনঃমূল্যায়ন করার দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
বুধবার দুপুরে খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে সংগঠনটির জেলা শাখার ব্যানারে এর আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল মজিদ।
এ সময় বলা হয়, পার্বত্য চুক্তির ২৩ বছর কেটে গেছে। একের পর এক চুক্তির বিভিন্ন শর্ত বাস্তবায়িত হচ্ছে। এরমধ্যেই সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে অধিকাংশ ধারাই বাস্তবায়িত হয়েছে।
অপরদিকে, সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএসএস) পক্ষ থেকে চুক্তির দ্রুত বাস্তবায়ন চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, পাহাড়ে এখনও নিরপত্তাহীনতায় বসবাস করছে বাঙালিরা। আঞ্চলিক সংগঠনের বেপরোয়া চাঁদাবাজি, হত্যা, গুম, খুন, অপহরণের মত জঘন্য কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
চুক্তি বাস্তবায়নের নামে ৪টি সশস্ত্র সংগঠনের জন্ম হয়েছে পাহাড়ে। তাদের কাছে এখানকার বাঙালিদের পাশাপাশি সাধারণ পাহাড়িরাও জিম্মি হয়ে আছে। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের জন্য ২৬টি জাতীয় আইন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট ১২ টি আইনসহ মোট ৩৮টি আইন সংশোধন করা প্রয়োজন।
অবিলম্বে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় চুক্তির সাংঘর্ষিক ও বৈষম্যমূলক ধারাগুলো সংশোধন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি স্থাপনে ব্যর্থ সন্তু লারমার আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে অপসারণ, আঞ্চলিক সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, গুচ্ছগ্রামের বাঙালিদের পুর্নবাসনসহ নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্প পুনঃস্থাপনের জোর দাবি জানানো হয় সাংবাদিক সম্মেলন থেকে।