নিজস্ব প্রতিবেদক :: খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়িতে অবাধে চলছে দুর্নীতি, প্রশাসন নীরব। এই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বালু উত্তোলন, পাহাড় কাটা, জলে ভাসা সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে বহুতলা ভবন নির্মাণ, হাসপাতালে অনিয়ম, অবৈধ দখলসহ বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয়ে জাতীয় দৈনিকে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে এবং সাংবাদিকেরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা দত্ত’কে জানানোর পরও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায়, দুর্নীতি আরো বেড়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, মহালছড়িতে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও শত ফুট উচু পাহাড় কেটে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মাটি বিক্রয় এবং প্রশাসনের নাকের ডগায় সরকারি জলে ভাসা জায়গায় বহুতলা ভবন নির্মাণ করলেও নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা স্বত্বেও স্থানীয় প্রশাসন কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি এবং পাহাড় কাটার অপরাধে “পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ -এর ৬(খ) ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করতে পারবে না। তবে অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে পাহাড় বা টিলা কাটা যেতে পারে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান থাকলেও, পাহাড় কাটা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি।
মহালছড়ির দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও, প্রশাসনিক পদক্ষেপ না নেওয়ায় দুর্নীতির মাধ্যমে দখলবাজরা উৎসাহিত হয়ে পর্যায়ক্রমে সরকারি খাস জায়গা দখল, স্থাপনা নির্মাণ, বালু উত্তোলন ও পাহাড় কাটাসহ দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতি আরো বেড়েই চলেছে।
সচেতন মহলের দাবী, দ্রুত এসব দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। নয়তো প্রশাসনিক অবকাঠামো ভেঙ্গে যাবে।