নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ির মহালছড়ির চোংড়াছড়িতে প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে সাবার করলেও যেন দেখার কেউ নেই। ফলে মারাত্মক জীবন ঝুঁকিতে বসবাস করছে পাহাড়ের পাদদেশে স্থানীয় বাসিন্দারা।
দিনে পর দিন সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে পাহাড় কাটলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় এখনো বন্ধ হয়নি অবৈধ পাহাড় কাটা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতি বছর ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসের অন্যতম কারণ অবাধে পাহাড় কাটা। পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও প্র্রশাসনের কোনো ছাড়পত্র ছাড়াই দিনে-দুপুরে পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে এই উপজেলায়।
তারপরও অজ্ঞাত কারণে নীরব ভূমিকা পালন করেছে প্রশাসন। ফলে আরো বেপোরোয়া হয়ে উঠছে পাহাড় খেকোরা। তারা প্রতিনিয়তই পাহাড়ের মাটি বিক্রি ও অবৈধ বালু বিক্রয় করে বনে যাচ্ছে কোটি টাকার মালিক।
চোংড়াছড়িতে একাধিক স্থানে নানা অজুহাতে পাহাড় কাটছে একটি চক্র। পাহাড় কেটে তা ট্টাকে করে নিয়ে যাচ্ছে অন্যত্র। তবে পাহাড় কাটা বন্ধে প্রশাসনের কার্যকারী কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহালছড়ির চৌংড়াছড়ি এলাকায় প্রশাসনিক ভাবে পাহাড় কাটা নিয়ন্ত্রণ করতে না পাড়ায় বাড়ি-ঘর নির্মাণের পাশাপাশি ইটভাটার মাটির জন্যেও অবাধে কাটা হচ্ছে পাহাড়।
অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কাটার ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্ষায় বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসে। অবিলম্বে তাদের অপতৎপরতা বন্ধ করা না গেলে ভয়াবহ পরিবেশ ঝুঁকির আশঙ্কা করছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর ৬(খ) ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করতে পারবে না। তবে অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে পাহাড় বা টিলা কাটা যেতে পারে।
আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
বাড়িঘর নির্মাণের কথা বলে ৬০ থেকে ১০০ ফুট উঁচু টিলা কেটে মাটির শ্রেণি পরিবর্তন করে সমতল করা হচ্ছে ঐ চৌংড়াছড়ি স্কুল সংলগ্ন এলাকায়।
পাহাড় কাটা মাটি বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। এই মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে নদী, পুকুর ও নিচু জমি। প্রতিদিন অসংখ্য ট্টাক ও ট্রাক্টর বোঝাই করে মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে।
পাহাড় কেটে অবৈধ বালু উত্তোলনের সন্ধান পাওয়া যায় ঐ এলাকায়, অভিযোগটি ওঠেছে উপজেলার চোংড়াছড়ি এলাকার স্কুল টিলার আশেপাশের এলাকায় ৬০ থেকে ১০০ ফুট পাহাড় কেটে মাটি বিক্রয় করার মহোৎসব চলছে। প্রশাসন নীরব ভূমিকায় দুষ্টচক্ররা পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে চলেছে।
মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা দত্ত’র সাথে পাহাড় কাটার বিষয় নিয়ে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।