শিরোনাম
মঙ্গল. ডিসে ২৪, ২০২৪

মহালছড়ির স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অব্যবস্থাপনা বিরাজ করছে  – প্রতিবেদন ৪

মহালছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফ্লোরে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়ে থাকা সরকারি ঔষধ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন যাবৎ চরম অব্যবস্থাপনা বিরাজ করছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়। সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ ধনিষ্টা চাকমা রীতিমতো কর্মস্থলে আসেন না, মাঝেমধ্যে আসলেও বেলা ১১ টায় এসে ১২ ঘটিকায় ডিউটি শেষ করে চলে যান। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ নিরপেক্ষ টিম গঠন করে সুষ্ঠু তদন্ত করলে যার আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।

মহালছড়ি হাসপাতালে অনিয়ম সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হলেও, প্রশাসন অদ্যাবধি ডাঃ ধনিষ্টা চাকমা’র বিরুদ্ধে কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

মহালছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তার অবর্তমানে খালি পড়ে থাকা রুম

স্থানীয় এবং জেলার সাংবাদিকগণ বিভিন্ন তথ্যের জন্য বার বার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলেও, উনাকে না পেয়ে ফেরত আসেন। তবে হাসপাতালে গিয়ে উনার রুম দেখতে চাইলে, হাসপাতালের কর্মচারী এসে রুম খুলে দেয় এবং তার বিভিন্ন কর্মকান্ডের বর্ণনা দেয়।

মহালছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চাকুরীরত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীগণ দীর্ঘদিন ধরে একই জায়গায় চাকুরি করার ফলে এরা এখানে শিঁকড় গেড়ে বসেছেন। অনেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জায়গা জমি দখল করে বাড়ি স্থাপনা নির্মান করে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। কোন কোন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী স্থানীয়ভাবে ক্ষমতা ও দাপট দেখায়।

তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সেবা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থলে না এসে বছরের পর বছর বাড়িতে বসে বেতন ও টিএডিএ ভোগ করছেন। করোনাকালীন ও বর্তমান সময় বিবেচনা করে বিপুল অর্থ ব্যয়ে ফ্লু কর্ণার করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা অব্যবহৃত এবং অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে।

মহালছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের পাশে পড়ে থাকা সরকারি ঔষধের কার্টুন

তাছাড়া সরকারি ঔষধ হাসপাতালের স্টোর রুমে না রেখে বাহিরে ফেলে রাখার মতো ঘটনা সারাদেশের কোথাও হয়তো নেই।

এলাকাবাসীর দাবী, এই কর্মকর্তা নিয়মিত হাসপাতালে উপস্থিত থাকেন না। যে কারণে এলাকাবাসী সকল প্রকার স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তিনি খাগড়াছড়ি নিজ বাড়িতে থাকলেও তার কর্মস্থলে আসেন না। সপ্তাহে ২-৩ দিন অফিসে এসে পুরো সপ্তাহের হাজিরা দিয়ে যান। এ অবস্থায় তাকে উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে অপসারণ করে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল।

সম্প্রতি খাগড়াছড়ি জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ নুপুর কান্তি দাশ’কে টেলিফোনে এই বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, কিছু লোকজন আছে যারা হাসপাতালের বিভিন্ন ডাক্তার ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে থাকে। প্রভাব বিস্তার করার বিষয়টি জানতে চাইলে, তিনি হেসে বলেন যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকবে, তখন সে সরকার দলের দোহাই দিয়ে সবাই চলতে চাইবে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে আমি সেরকম কোন প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাইনি।

চলবে…..

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!