নিজস্ব প্রতিবেদক, মাটিরাঙ্গা :: বিচারের বানী নিরবে কাঁদে, অসহায়’দের পাশে থেকে বিচারের জন্য সহযোগীতা করেনা কেউ। খাগড়াছড়ি জেলা মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ০৪নং ওয়ার্ড আজমরাই এলাকার এক বয়োবৃদ্ধ বাসিন্দা আলী মিয়া’র নিকট থেকে রেশন কার্ড বন্ধকের নামে মাসে মাসে রেশন ডিও দেওয়ার কথা বলে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায় একই ওয়ার্ডের আদর্শগ্রাম এলাকার বাসিন্দা সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম। কিন্তু দীর্ঘ ০৭ বছর ধরে বৃদ্ধকে রেশনের ডিও কিংবা বন্ধকী টাকা না দিয়ে নুরুল ইসলাম নিজেই রেশন ভোগ করে যাচ্ছে।
বৃদ্ধ আলী মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আদর্শগ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম কাউন্সিলর থাকা অবস্থায় ৩১৯নং রেশন কার্ডটি ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে বন্ধক দেয়। তারপর থেকে সে কোন ডিও কিংবা টাকাও দিচ্ছে না। বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি অসহায় অবস্থায় মানবেতর জীবন-যাপন করছি। এ অবস্থায় প্রাপ্ত টাকা ও ৭ বছরের ডিও পাওয়ার জন্য ন্যায় বিচারের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তার কাছ থেকে ডিও অথবা টাকা চাইতে গেলে সে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে আলী মিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্যালয়- মাটিরাঙ্গা, স্থানীয় সেনা ক্যাম্প ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
সচেতন মহল মনে করেন, এই অসহায় বয়োবৃদ্ধের দেওয়া টাকা ও প্রাপ্য রেশন অবিলম্বে পরিশোধ করে দিলে এই বৃদ্ধের কষ্ট লাঘব হবে। এতে করে হয়রানী থেকেও তিনি রেহাই পাবেন।
এ ব্যাপারে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ০৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নুরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, অভিযোগকারী আলী মিয়া সম্পর্কে আমার মামা হন। কিন্তু নিজের বিভিন্ন অসুবিধার জন্য টাকা বা রেশন দিতে পারি নাই। তবে অবিলম্বে তার সকল টাকা পরিশোধ করে দেব।
অভিযোগকারীর স্ত্রী পানমতি নেছা ও ছেলে মোঃ সাদেক-এর সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার বাবা এবং মা ভিন্ন থাকে। উনাদের আয়-রোজগারের কোন ব্যবস্থা না থাকায়, উক্ত রেশন কার্ড’টি বন্ধকে নিয়েছিলেন। উনারা বর্তমানে খুব কষ্টে আছেন। রেশন কার্ড ও ডিও ঠিকভাবে পেলে, তাদের কষ্ট লাঘব হতো।