নিজস্ব প্রতিবেদক :: খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে চলছে এলপি গ্যাস পাম্প, দেখার কেউ নেই। প্রশাসনের নিরবতায় মাটিরাঙ্গা উপজেলার বাইল্যাছড়ি নামক স্থানে এক প্রভাবশালী খায়রুজ্জামান বিটু ক্ষমতার দাপটে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে এলপি গ্যাসের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অনুরূপভাবে একই উপজেলার তবলছড়ি এলাকায় ২ টি ও মাটিরাঙ্গা পৌর সদরের চেয়ারম্যানপাড়া এলাকায় ১ টি অবৈধ এলপি গ্যাস পাম্প রয়েছে।
উক্ত পাম্পের কর্মচারীগণ জানায় সম্প্রতি বিনা অনুমতিতে অবৈধভাবে এলপি গ্যাসের পাম্প স্থাপন করে, সরকারের রাজস্ব ফাঁকি ও উক্ত স্থানে পাহাড় কাটার দায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং বিধি সম্মতভাবে সরকারের অনুমোদন নিয়ে পাম্পের কর্মকান্ড পরিচালনা করার জন্য বলেন। কিন্তু তারা তা মানছেনা।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, খায়রুজ্জামান বিটু অবৈধভাবে ব্যবসা করে গাড়ী-বাড়ী, জায়গা-সম্পদ ও কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। গত দুই বছর ধরে এলপি গ্যাসের অবৈধ ব্যবসা করে আসছে স্থানীয় প্রশাসনসহ সবাইকে ম্যানেজ করে। প্রথমে মাটিরাঙ্গা সদরে জল পাহাড়ের পিছনে ব্যবসাটি শুরু করেন। তৎকালীন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি জানতে পেরে, এলপি গ্যাসের ব্যবসা বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে আবার সে প্রশাসনের চোখে ধুলা দিয়ে মাটিরাঙ্গা সদর থেকে দুই থেকে তিন কিলোমিটার দূরে দক্ষিণে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বাইল্যাছড়ি ও রসুলপুরের মাঝামাঝি স্থানে এলপি গ্যাসের পাম্প স্থাপন করে প্রশাসনের চোখের আড়ালে পুনরায় ব্যবসা শুরু করে দেয়।
খাগড়াছড়ির জেলার কয়েকটি এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে অবৈধভাবেই চলছে এসব কর্মকান্ড। প্রতিদিন অবাধে সিএনজি, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার-এ অবৈধভাবে এলপি গ্যাস লোড চলছে। ব্যবহৃত এলপিজি’তে থাকে মূলত প্রোপেন বা বুটেন। এই গ্যাস সহজে বাতাসে মিশতে চায় না। তার উপর এই গ্যাস সামান্য বাতাসের সংস্পর্শে জ্বলতে সক্ষম। কিন্তু খাগড়াছড়ি জেলায় অধিকাংশ সিএনজি, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার চলছে এলপি গ্যাস দিয়ে। এ অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রাস্তায় চলছে গাড়ি।
এলপি গ্যাস পাম্পের মালিক খায়রুজ্জামান বিটু’র সঙ্গে মোবাইলে পাম্পের বৈধতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, অনুমতিবিহীন অবস্থায় ব্যবসা চালাতে হলে তো সকলকে ম্যানেজ করেই ব্যবসা চালাতে হবে। তাই সকলকে ম্যানেজ করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি।
বিষয়টি সম্পর্কে মোবাইলে জানতে চাইলে মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শামসুদ্দীন জানান, অবৈধভাবে যদি কোন ব্যক্তি এলপি গ্যাসের ব্যবসা করে, তাহলে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।
এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৃলা দেব-এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বাইল্যাছড়িতে অবৈধভাবে এলপি গ্যাস সরবরাহ করে থাকলে, খোঁজ-খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস-এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, অবৈধ এলপি গ্যাস পাম্প চালানোর বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।