নিজস্ব প্রতিবেদক :: গুইমারার তিন যুবক এক বছরের বেশি সময় বিদেশ থাকার পর নানা অভিযোগ। গত বছর পোল্যান্ড-এর পাওয়ারল্যান্ড অঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে জনপ্রতি ৩ লক্ষ টাকা করে মোট ৯ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সোমালিয়া পাঠানোর অভিযোগ করছে।
অভিযোগকারী তিন যুবক মোঃ নাছির, দিদারুল আলম ও নজরুল ইসলাম’কে এক রাষ্ট্রে নেয়ার কথা বলে অন্য রাষ্ট্রে পাঠানোর বিষয়ে নজরুল ইসলামের পিতা ফজর আলী, দিদারুল আলমের স্ত্রী নুর নাহার ও মোঃ নাছিরের স্ত্রী হাজেরা বেগম বাদী হয়ে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট পৃথক তিনটি অভিযোগ করেন। নির্বাহী অফিসার বিদেশ পাঠানো ব্যক্তিদেরকে যেকোনভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দেন।
বিদেশ নেওয়া ব্যক্তিগণ একই উপজেলার বাসিন্দা আব্দুর রহিম ও সুব্রত নাথ (সোমালিয়া প্রবাসী)। তাদের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে, তারা বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেছে। সোমালিয়া প্রবাসী সুব্রত নাথ মোবাইলে বলেন, তাদেরকে যে রাষ্ট্রে আনার কথা ছিলো সেখানেই আনা হয়েছে। তারা সেখানে ঠিকমতো কাজ না করলে কিংবা অন্য কোন রাষ্ট্রে যেতে চাইলে তার দায়ভার আমার নয়। তাদের প্রতি কোন অন্যায় করে থাকলে তা ২-৩ মাসের মধ্যে জানাতে পারতো। কিন্ত এক বছরের বেশি সময় হয়ে যাওয়ার পরও এমন অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তাদের পরিবার মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আমাদেরকে অন্যায়ভাবে হয়রানি করছে।
তাছাড়া অভিযোগকারী ব্যক্তিদেরকে বিদেশ আনার বিষয়ে স্থানীয় নুরুল ইসলাম (মেম্বার) ও এলাকার সর্দার আব্দুল মমিন জানেন।
তিন যুবকের পরিবারের লোকজন স্থানীয় সাংবাদিককে বলেন, দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় হলেও তারা তিনজন সোমালিয়া’য় কাজ করতে পারেননি এবং সেখানে খাদ্য ও বাসস্থান সঙ্কটে পড়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। তাদের থাকা ও খাওয়ার খরচ প্রতিমাসে পরিবারের পক্ষ থেকে পাঠাতে হয়।