আল-মামুন:: খাগড়াছড়িতে চাঞ্চল্যকর দুর্ধর্ষ ডাকাতি এবং বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে গণধর্ষনের ঘটনায় ক্লু উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৭ জনকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তাদের দোষ স্বীকার করেছে আটককৃতরা।
রবিবার সকালে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ এ তথ্য জানান। এ সময় তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে আটককৃত ৭জনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতদলের ব্যবহৃত অস্ত্র, সিএনজি এবং লুন্ঠিত বেশ কিছু জিনিস।
মুলত পরিকল্পিত ভাবে তারা ডাকাতি এবং ধর্ষনের উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছে তিনি। এ সময় চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো: আনোয়ার হোসেনসহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ আরো জানান, আটকৃতরা সবাই পেশাদার অপরাধী। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ধর্ষন, ডাকাতি, চুরির একাধিক মামলা রয়েছে। জেলখানায় থাকা অবস্থায় একে অপরের সাথে পরিচয় হয়।
ঘটনার দিন লুটপাটের এক পর্যায়ে মা-বাবাকে এক রুমে বেঁধে রেখে পাওে রুমে প্রতিবন্ধী ওই তরুণী(২৬)’কে ডাকাতদলের ৪ সদস্য উপর্যুপরী ধর্ষণ করে। ঘটনার পর খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭জনকে আটক করা হয়।
গত বুধবার দিবাগত গভীর রাতে জেলা শহরের বলপাইয়া আদাম এলাকায় একটি ঘরে সবাইকে বেঁধে ডাকাতিকালে প্রতিবন্ধি নারী(২৬)কে গণধর্ষনের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে থানায় পৃথক দুটি মামলা করেছেন ভিকটিমের মা।
ঘটনার পর থেকে খাগড়াছড়ি,বান্দরবান,চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আটককৃত ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল,মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।