শিরোনাম
মঙ্গল. ডিসে ২৪, ২০২৪

মহালছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যানকে হেয়-প্রতিপন্ন করার চেষ্টা :
মিথ্যা অপ-প্রচার চালাচ্ছে একটি মহল

বৈঠকে উপস্থিত ও তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তির ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

মহালছড়ির ‍ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে হেয়-প্রতিপন্ন করতে মিথ্যা অপ-প্রচার করছে একটি মহল। মহালছড়ির এক কিশোরী, আলামিন নামক বাঙ্গালী ছেলের সাথে মোবাইলে তিন মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক করে আসছিলো। তারই সূত্র ধরে গত ৩১ আগস্ট সন্ধ্যায় ছেলেটির সাথে দেখা করতে আসার পথে রাতের বেলায় কুকুরের হামলার শিকার হলে, সে দৌড়ে পালানোর সময় পড়ে যায় এবং তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লাগে। আহত অবস্থায় মেয়েটি স্থানীয় এক শিক্ষকের বাড়িতে উঠে আশ্রয় নিলে, আশ্রয়দাতাকে প্রেমের বিষয়সহ বিস্তারিত বলে। বিষয়টি হেডম্যানকে জানালে এবং মেয়েটির আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশি সকলের মাঝে জানাজানি হয়ে গেলে, থলিপাড়া ক্লাবে স্থানীয়ভাবে সকলে বৈঠকে বসে। বৈঠকে বসার পর মেয়ের অভিভাবক জানান, তার বোন ও দুলাভাইসহ উপস্থিত লোকজনকে বিষয়টি ভূল বুঝাবুঝি বলে স্বীকার করে এবং ঐ ছেলের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ ও কোন সম্পর্ক না রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান রতন শীল বিষয়টি জানার পর, মহালছড়ি থানাকে বিষয়টি বিস্তারিত জানালে, মহালছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাহাঙ্গীর কয়েকজন পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠায় এবং তিন মাস ধরে মোবাইলে যোগাযোগ ও প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ে অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানান।

স্থানীয়ভাবে গত ১ সেপ্টেম্বর ২০২০ বিকেলে থলিপাড়া ক্লাব ঘরে বৈঠক করলে, এ ঘটনায় ২৫২নং থলিপাড়া মৌজার হেডম্যান কালাচান চৌধুরী, কান্তি মারমা, নেসু মারমাসহ স্থানীয়দের উপস্থিতিতে পরে মহালছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রতন শীল’কে ডেকে নিলে বিষয়টির সমাপ্তি ঘটে। এদিকে একটি মহল উল্লেখিত বিষয়টি ভিন্ন হাতে প্রবাহিত করার জন্য এই অপ-প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের মতে অপ-প্রচারকারীদের এইরুপ অপ-প্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান মেয়ের অভিভাবক।

এছাড়াও মেয়েটিকে কুকুরে হামলার স্বীকারের চিকিৎসার জন্য চেয়ারম্যান রতন শীল কিছু টাকা ব্যক্তিগতভাবে সহযোগীতা করেন। এই সহযোগীতা দেওয়া নিয়ে একটি মহল বিষয়টি অন্যভাবে প্রচারের চেষ্টা করছে।

উল্লেখ্য যে, মেয়েটির বাড়ি মাইসছড়ি, সে মহালছড়িতে তার বোনের বাসায় থেকে পড়ালেখা করতো। মেয়ে ও মেয়ের অভিভাবক কারো কাছে লিখিত বা মৌখিক কোন অভিযোগ করে নাই। তাহলে তার বিরুদ্ধে কেন এই কুৎসা রটানোর মাধ্যমে মানহানিকর অপ-প্রচার চালাচ্ছে? এহেন ঘটনা থেকে বিরত থাকার জন্য অপ-প্রচারকারীদের অনুরোধ জানান।

অপরদিকে মং উচিং চৌধুরী নামক একটি ফেসবুক আইডি’র এক কমেন্টের মাধ্যমে জানান যে, ‘না জেনে, না শুনে তথ্য প্রচার করা উচিত নয়। মেয়েটির সাথে তিন মাসের সম্পর্কের কথা সে নিজেই স্বীকার করেছে। মেয়েটি নিজের মুখে বলেছে যে, সে-ই বাঙ্গালী ছেলেটিকে ফোন করে ডেকেছে। বাঙ্গালী ছেলেটি কিছুই করেনি। বৈঠকে মেয়েটি নিজেই জবানবন্দী দিয়েছে। যার কারণে গণ্যমান্য ব্যক্তিগণও আর কিছু বলতে পারেনি।’

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!