শিরোনাম
মঙ্গল. ডিসে ২৪, ২০২৪

এক ভুয়া চিকিৎসকের ছয় মাসের কারাদন্ড দিয়েছে : মাটিরাঙ্গার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার ববি

নিজস্ব প্রতিবেদক :: খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা পৌরসভার একটি ফার্মেসিতে ইউনানীতে ডিপ্লোমা ডিগ্রী ধারী হয়েও দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সরলতাকে পুঁজি করে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন একেএম রফিকুল ইসলাম। সাধারন মানুষকে অন্ধকারে রেখে  মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সামনে আরিশ মেডিকেল হলে চেম্বার করে রোগীদের চিকিৎসা দিতেন এ চিকিৎসক। সাধারন মানুষের চোখকে ফাঁকি দিলেও দীর্ঘ প্রতারণার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের হাতেই ধরা খেলেন এ ভুয়া চিকিৎসক।

শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকালের দিকে প্রতারক একেএম রফিকুল ইসলাম‘র চেম্বার আরিশ মেডকিলে হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মাটিরাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফারজানা আক্তার ববি। এ সময় বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ এর ২২ ধারায় তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আটক ভুয়া চিকিৎসক একেএম রফিকুল ইসলাম ঝালকাঠি জেলার ঝালকাঠি সদর উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত- আজহার উদ্দিনের ছেলে। ব্যাক্তিগত জীবনে বিবাহিত একেএম রফিকুল ইসলাম এক কণ্যা সন্তানের জনক।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মাটিরাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফারজানা আক্তার ববি বলেন, ইউনানী ডিগ্রিধারী হিসেবে তিনি তার নামের পাশে ইউনানী প্র্যাক্টিশনার লিখতে পারেন। আইন অনুযায়ী তিনি কখনই তার প্রেসক্রিপশনে নামের পাশে ডাক্তার লিখতে পারেন না। তিনি সাধারন মানুষের সরলতাকে পুজি করে ১৫ বছরের অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরিচয়ে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসাও দিতেন। তিনি ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন। তাই বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ এর ২২ ধারায় ইউনানীতে ডিপ্লোমা ডিগ্রী ধারী হয়েও অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা দেয়ার অপরাধে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অভিযানকালে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ময়নাল হোসেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ওমর ফারুক ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. এমরান হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!