নিজস্ব প্রতিবেদক :: গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের অব: সেনাবাহিনী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন’র স্ত্রী বেবী আক্তার ডলি জালিয়াপাড়া ভাড়া বাসায় ছেলে-মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। কিন্তু তার নামে ২৭২নং হোল্ডিং-এ ৫ একর ৩য় শ্রেণির টিলাভূমি বন্দোবস্তি থাকলেও উক্ত জায়গা ক্যাম্পের দখলে থাকার পরেও সন সন খাজনা পরিশোধ করে যাচ্ছে।
জানা যায়, বেবী আক্তার ডলি হাতিমুড়া এলাকায় তার ৫ একর টিলা ভূমিতে জঙ্গল পরিস্কার করে, ঘর-বাড়ি ও বাগ-বাগিচা সৃজন করলে তৎকালীন ৮৬-৮৭ সালে শান্তিবাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ফলে বাঙ্গালীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সিন্দুকছড়ি জোন কর্তৃক হাতিমুড়া ও জালিয়াপাড়া গুচ্ছগ্রামে নিয়ে আসলে, তার
রেকর্ডীয় জায়গায় অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে। হাতিমুড়া বাঙ্গালিদের জান-মালের নিরাপত্তার জন্য তখন সিন্দুকছড়ি জোন বেবী আক্তার ডলি-র নামীয় ৫ একর জায়গার কিছু অংশে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে।
দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে, তখন উক্ত জায়গা ফেরত বা ক্যাম্পের প্রয়োজনে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা থাকলেও অদ্যাবধি ক্যাম্পের দখলীয় ৩.৪৯ (তিন একর ঊনপঞ্চাশ শতক) জায়গার কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপারের বরাবর ইতিপূর্বে একটি আবেদন করে।
১৯৯৭ইং সনে সরকার শান্তি চুক্তি করার পরে সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে অস্থায়ী ক্যাম্পের জায়গাটি বুঝিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় জমির মালিক বর্তমানে বাড়ি-ঘর নির্মাণের জন্য অবশিষ্ট ১.৫১ (এক একর একান্ন শতক) একর জায়গাটা সরকারি আমিন, কানুন-গো ও সার্ভেয়ার দ্বারা সীমানা পরিচিহ্নিত করে বসত-বাড়ি নির্মাণের প্রয়োজন। যাতে ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করতে পারে, সে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।