নিজস্ব প্রতিবেদক :: প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে শাহিন ফটিকছড়ির সিমানা পেরিয়ে এবার সাধারণ মানুষের জায়গা দখল, নৈরাজ্য ও হামলাসহ সাধারণ মানুষকে হত্যার হুমকি ও চাঁদাবাজীর মাধ্যমে রাম রাজত্ব কায়েমে মেতে উঠেছে খাগড়াছড়ি জেলার মনিকছড়ি উপজেলায়।
জানা যায়, শাহিন বিভিন্ন স্থানে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া গ্রাম্য দলিল দেখিয়ে জয়নাল আবেদীন নামক এক ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে জমিলা খাতুন, স্বামী- রুহুল আমিন -এর নিকট ৩০১নং হোল্ডিং-এর জায়গাটি বিক্রয় করেছে বলে দাবি করে। জমিলা খাতুন, জয়নাল আবেদীন’র থেকে ০.৯০ শতক জায়গা ক্রয় করেছে বলে দাবি করলেও জয়নাল আবেদীন-এর কাছে কোনো প্রকার রেজিস্ট্রেশন দলিল না থাকা স্বত্ত্বেও, অন্যের জায়গা জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃতপক্ষে এই হোল্ডিং-এর জায়গার মালিক আব্দুর রহিম। এখনও পর্যন্ত উক্ত হোল্ডিং-টি তার নামেই রয়েছে এবং জায়গাটি ভিন্ন স্থানে ও তিনি তার জায়গাটি জয়নাল আবেদীন নামক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেননি। এই বিষয়ে প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণকারীকে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠ তদন্ত করলে উল্লেখিত ঘটনার আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
এদিকে ইতিপূর্বে মানিকছড়ি উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম, শাহ আলম ও আবু তালেব’দের রেকর্ডীয় জায়গার টিলাভূমিতে জোর পূর্বক একটি ঘর নির্মাণ করে ও আবদুল হকের ক্রয়কৃত ১ম শ্রেণির জমি ও নুরুল আলম গং’দের জায়গা জোর পূর্বক দখলের উদ্দেশ্যে মুক্তিযোদ্ধার জায়গা হিসাবে সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেয়। এতে সম্মানিত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ব্যবহার করে। এ নিয়ে ৯৯৯ এ টেলিফোন করলে প্রশাসনিকভাবে মানিকছড়ি থানার পুলিশ গিয়ে তার সাইনবোর্ড লাগানো ও ঘর নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেয়।
দীর্ঘদিন লুকিয়ে থাকার পর আবার এসে ঐ জায়গা বিক্রি করার নাম করে কিছু লোকজন নিয়ে আসে। এ বিষয়ে জানতে পেরে মানিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান-এর নিকট শাহিনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করা হয়। শাহিন প্রতারণা করে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে একাধিক লোকজনকে হয়রানি, প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার ঘটনাও ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলে, তার দুর্নীতি, হয়রানি ও অপকর্ম থেকে সাধারণ লোকজন রেহাই পাবে।