নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ির গুইমারার আলোচিত ধর্ষণ মামলার আসামী শ্যাম প্রসাদ বণিককে অভিযান চালিয়ে আটক করেছে গুইমারা থানা পুলিশ। ইতিপূর্বে অভিযান চালিয়ে হাটহাজারী উপজেলার কাটিরহাট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আসামী রিমান্ডে আনলে মা ও মেয়ের মূল রহস্য বের হয়ে আসবে। তবে এখনো নাবালিকা কণ্যা সন্তান ধর্ষণের প্রধান সহযোগি মা শাহেদা আক্তার ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়েছে।
আলোচিত এই ধর্ষণ মামলার আসামী শ্যাম প্রসাদ বণিক প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম বিদেশ থাকার সুবাদে তার স্ত্রীকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে তা জানাজানি হয়ে গেলে সে ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে নিজের মেয়েকে কথিত প্রেমিক শ্যাম প্রসাদ বণিককে ধর্ষণের সহায়তা করার অভিযোগ করেন ঐ মেয়ের পিতা। পরে গত ২৬ জুলাই শ্যাম প্রসাদ বণিককের বিচার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেন জাহাঙ্গীর আলম। সংবাদটি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারের পর আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে। পর দিন গুইমারা থানায় লিখিত অভিযোগ তদন্তের পর রূপ নেয় মামলায়। সে মামলায় ইতিপূর্বে শ্যাম প্রসাদ বণিককে হাটহাজারী উপজেলার কাটিরহাট থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। যাহার মামলা নং- ০১/২০২০, তারিখ: ২৭/০৭/২০, নারী ও শিশু আইনে ৯(১)২০০০, জিআর-২৪৭/২০২০। আটক করে জিজ্ঞাসা বাদের পর জাহাঙ্গীরের ১৩ বছরের নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষনের কথা স্বীকার করে বলে জানা গেছে। তৎক্ষনায় তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। রিমান্ডের আবেদন করলেও তবে এখন পর্যন্ত রিমান্ডে আনা হয়নি। রিমান্ডে আনলে মা ও মেয়ের আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
এলাকাবাসীর দাবী আলোচিত ধর্ষণ মামলার আসামী শ্যাম প্রসাদ বণিক অপকর্মের ভিডিও ধারণ করা ঘর (গুইমারা ডাক্তার টিলায়) ও শ্যাম প্রসাদের বাড়ীর পাশে জাহাঙ্গীরের বড়ীটি সীলগালা করা প্রয়োজন। কেননা এই ঘর ২টিতে নানা অপকর্ম ও নোংরা কাজের আলামত রয়েছে। ধর্ষণকারীর ফাসী ও জড়িতদের সৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান এলাকাবাসী।