নুরুল আলম:: জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত গুইমারা বাজার ও বাজার সংলগ্ন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা এর শুভ উদ্ধোধন করেন, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী।
৯ আগষ্ট’২০২০ ইং তারিখ রবিবার সকাল ১১ ঘটিকায় গুইমারা বাজার সংলগ্ন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা এর শুভ উদ্ধোধন করা হয়। খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ফজির উদ্দিন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, আরো উপস্থিত ছিলেন গুইমারা উপজেলা চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রæ মারমা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহমেদ, গুইমারা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মেমং মারমা, সিন্দুকছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রেদাক মারমা, উপজেলা নির্বাহী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আইয়ুব আলী সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ফজির উদ্দিন জানান, খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এতে করে গুইমারা বাজার এবং পার্শবর্তী কয়েকটি গ্রামের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পূরণ হবে।
জাতীয়ভাবে নিরাপদ পানির কভারেজ ৯২% হলেও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার বর্তমান কভারেজ ৬০%। জেলার নিরাপদ পানি কভারেজ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং পাজেপ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে প্রায় শতকোটি টাকা ব্যয়ে ২টি প্রকল্পের অনুমোদন পাওয়া যায়। প্রকল্প ২টির আওতায় জেলার ৯টি উপজেলায় ৫৮টি গ্রামে উৎপাদক নলকূপ স্থাপনসহ পাইপ লাইনের মাধ্যমে নিরাপদ পানি সরবরাহ করা হবে। বাজার সহ জন বহুল এলাকায় ১৭৮টি কমিউনিটি টয়লেট নির্মান করা হবে। ৬৫টি বাজারে ও বাজার সংলগ্ন জনবহুল গ্রামে উৎপাদক নলকূপ স্থাপন ও পাইল লাইনের মাধ্যমে নিরাপদ পানি সরবরাহ করা হবে। তাছাড়াও সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় প্রতি বছর প্রতিটি ইউনিয়নে ২৬টি পানির উৎস স্থাপন কাজ ২০২৪ সাল পর্যন্ত চলমান থাকবে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর কাজ ২০২২ সাল নাগাদ শেষ হলে জেলার নিরাপদ পানির কভারেজ ৮০% এ উন্নীত হবে একই সাথে জেলায় স্যানিটেশন কভারেজও বৃদ্ধি পাবে।
প্রধান অতিথি কংজরী চৌধুরী বলেন, খাগড়াছড়ির ৯টি উপজেলায় বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পানি পৌছে দিলে মানুষের পানি সংকট দুর হবে। সকলের উচিৎ পানি অপচয় না করে সুষ্ঠ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার নিশ্চিত করা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরো বলেন, পানি, বিদ্যুৎ, রাস্তা-ঘাট সহ সকল প্রকার উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে সরকারকে সহযোগিতা সহকারে এগিয়ে আসতে হবে। খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের অধীনে ব্যপক উন্নয় সাধিত হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো এই উন্নয়নের ধারা অব্যহত থাকবে।