নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামগামী চলাচল অউপযোগী বিআরটিসিতে বেড়েছে যাত্রী দূর্ভোগ। ৪টি বিআরটিসি বাস থাকলেও একটিতে দেখা যায় বৃষ্টির পানি থেকে রক্ষায় উপরে ত্রিপল আর তালি জোড়া দিয়ে চলছে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কে। চাহিদা থাকলেও নেই এসি বাসও। ফলে গ্রাহক হাড়াতে বসেছে বাসটি।
এক যাত্রী অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম থেকে আসার পথে বৃষ্টি পড়তেই আকাশ থেকে বৃষ্টি মাটিতে পড়ার আগেই নিজেই ভিজে গেলাম। বিআরটিসি বাসে থাকা যাত্রীরা যদি গাড়ীতে থেকেই ভীজে যায়। তাহলে এই গাড়ী রাস্তায় না নামালেইতো হয়!
নামে মাত্র যাত্রী সেবায় সড়কে চলাচল থাকলেও সরকারি ভাবে নতুন নতুন গাড়ী থাকলেও পার্বত্য এই জনপদে দেওয়া হচ্ছে চলাচল অউপযোগি এসব গাড়ী। ফলে যাত্রীদের মধ্যে কমছে বিআরটিসিতে চলাচলের আগ্রহ। ঢাকা মেট্টো-ব ১১-৬৮১৫ গাড়ীতে শুধু পানিই পড়ে না, বসার সিটগুলোর তালিজোড়ায় রশি দিয়ে বাধা।
এদিকে-আধুনিক গাড়ী দিয়ে যাত্রীদের সেবার মান বাঁড়াতে যেখানে অন্যান্য পরিবহণগুলো মরিয়া সেখানে বিআরটিসির এমন জীর্ণদশায় হতাশ স্থানীয়রা। পার্বত্যবাসীর দাবী নতুন ও উন্নত গাড়ী দিয়ে বাড়ানো হবে যাত্রী সেবার মান। সংযুক্ত করা হবে নতুন এসি বাস।
এ বিষয়ে বিআরটিসির চট্টগ্রাম ম্যানেজার মাসুদ তালুকদার জানান, খাগড়াছড়ি,রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলায় চালু আছে ১২টি বিআরটিসি বাস। তার মধ্যে খাগড়াছড়িতে ৪টি বাস। এতে ৩টি নতুন হলেও ১টি গাড়ী পুরাতন। সমস্যার বিষয়টি জানার পর তিনি দ্রæত এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, সরকারি রাজস্ব চাহিদা অনুসারে না পাওয়ায় এসি বাস সংযোজন করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ সময় তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে আরো দুটি করে নতুন বাস চালুর পরিকল্পনা থাকলেও পার্বত্য এসব সড়কে নানামূখী বাঁধার কারণে বাসগুলো চালু করার ইচ্ছা থাকা সত্তে¡ও তা সম্ভব হচ্ছে না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।