আল-মামুন,খাগড়াছড়ি:: শেষ বিদায়ে খাগড়াছড়িতে নিহতদের অশ্রুসিক্ত বিদায় জানিয়েছে এমএন লারমা সমর্থিত সংস্কারপন্থী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতারা। সম্পন্ন হয়েছে দাহ আনুষ্ঠান। বুধবার ময়না তদন্ত শেষে গভীর রাতে পিকআপে করে একে একে খাগড়াছড়ি পৌছে ৫ নেতাকর্মীর মরদেহ।
খাগড়াছড়ি সরকারি হাইস্কুল মাঠে দলীয় নেতাকর্মীরা দলের দীর্ঘ দিনের প্ররিশ্রমি প্রতিপক্ষের ব্রাশফায়ারে নিহত নেতাদের লাশ শেষ বারের মত এক বার দেখতে ভীড় করেন। পরে নিহতের স্বজনদের কাছে হস্থান্তর করা হয় তাদের লাশ।
এমএন লারমা সমর্থিত জেএসএস সংস্কারের এক নেতা জানান, রাত ২ টায় খাগড়াছড়িতে পৌঁছে লাশ। লাশগুলো খাগড়াছড়ির জেলা সভাপতি আরোদ্যাপাল খীসা গ্রহণ করেন। পরে জেলা সভাপতি নিজ নিজ পরিবারের কাছে লাশগুলো হস্থান্তর করেন। এই সময় জেলা সভাপতি নেতাকর্মীসহ জেএসএসের অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
তার মধ্যে যুব সমিতির সদস্য জয় ত্রিপুরা রিপনকে সদরে দাহ করা হয়। এছাড়া-বিমল কান্তি চাকমা প্রকাশ বিধু বাবু’র বাড়ি খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার কুড়াদিয়া ছড়া এলাকায়। তিনি সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি।
উপদেষ্টা কমিটির সদস্য চিংথোয়াইয়াঅং মারমা প্রকাশ ডেভিডকে মানিকছড়ি, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির সদস্য রবীন্দ্র চাকমা মিলনকে মহালছড়ি উপজেলার খুলরাম পাড়া এবং ও জ্ঞান ত্রিপুরা দীপেনকে খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার বাইল্যাছড়িতে দাহ করা করা হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের জন্য এমএন লারমা সমর্থিক নেতারা হত্যাকারীদের অভিলম্বে গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচী হাতে নেওয়া হবে বলেও তারা হুশিয়ারী জানান।
এদিকে সিক্স মার্ডারের ঘটনায় মামলা হয়েছে বান্দরবানে। জেএসএস (সংস্কার) এর জেলার সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গ্যা সহ ৬জন ব্রাশফায়ারে হত্যার ঘটনায় বান্দরবান সদর থানায় ২০জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় জেএসএস (সংস্কার) এর জেলা কমিটির সেক্রেটারী উবামং মারমা বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে ১০জনের নাম উল্লেখ করে ও আরো ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে এ মামলা হয় বলে সূত্র জানায়। এতে ৩০২, ৩০৭, ৩২৬ ও ৩৪ মামলা হয়েছে।
৭ জুলাই মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে বান্দরবান সদর উপজেলার রাজিবিলা ইউনিয়নের বাঘমারা বাজারপাড়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ৬ নেতাকর্মী নিহত ও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় বিদ্যুৎ ত্রিপুরা, নিরু চাকমা ও মেমানু মারমা। এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার হয়নি। তবে ঐ এলাকায় এখনো কাটেনি আতঙ্ক।